স্কুলশিশুদের পাঠদান কিংবা গ্রহণ এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি আমূল বদলে দিয়ে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের অধীনে শিক্ষার্থীরা এক বছর পার করল। সরকার এই শিক্ষাক্রম চালু করার পর থেকে শুরু হয় বিতর্ক। তা থেমে নেই এখনও। নতুন শিক্ষাক্রমে এক বছরে শিক্ষার্থীরা কী শিখল, শিক্ষকরা তাদের কতটুকু শেখাতে পারল, অভিভাবকদের উদ্বেগ কতটা কাটল- তা খুঁজতে চেয়েছে সকাল সন্ধ্যা। তারই ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব।
শিশুরা তো পড়ছে না, বইয়ে পড়ার কিছু তো দেখছি না- এছিল অভিভাবকদের উদ্বেগ। কীভাবে পড়াব- তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন শিক্ষকরা। এই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদানের এক বছর পূর্ণ হলো।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি দিয়ে শুরু হয়েছিল নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন। যেখানে বই ছিল আগের চেয়ে ভিন্ন, ভিন্ন ছিল পাঠদানের প্রক্রিয়াও, মূল্যায়নের পদ্ধতিও যায় বদলে।
শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের শুরু থেকে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা আসতে থাকে। তারমধ্যেই এক বছর্ পেরিয়ে এবার তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন বই দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ শ্রেণিতে এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন প্রক্রিয়ার প্রয়োগ শুরু হবে।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক স্তর, অর্থাৎ নার্সারি ও প্লে-তে শিশুদের জন্য কোনও নির্ধারিত বই ছিল না। শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষকরাই তাদেরকে সরাসরি শিখিয়েছেন।
এরপর প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তিনটি বই থাকলেও কোনও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে বছরব্যাপী চলা বিভিন্ন শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে।
শিখনকালীন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের দক্ষতা, উপস্থাপন, ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট বা বাড়ির কাজসহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার কর হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১০টি বিষয়ে পড়ানো হবে। সেগুলো হচ্ছে- ভাষা ও যোগাযোগ, গণিত ও যুক্তি, বিজ্ঞান ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, সমাজ ও বিশ্ব নাগরিকত্ব, পরিবেশ ও জলবায়ু, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করছে, ‘যোগ্যতা’ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা সচল হলে একজন শিক্ষার্থী সৎ, উদ্যমী, গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন, অসাম্প্রদায়িক মানবিকতার পরিচয় বহন করে যেমন ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে, তেমনি অন্যের মতামত ও অবস্থানকে সম্মান ও অনুধাবন করার দক্ষতা অর্জন করবে। ফলে শিক্ষার্থীরা সূক্ষ্ম চিন্তার মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে সবার জন্য যৌক্তিক ও সর্বোচ্চ কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এছাড়া এই শিক্ষাক্রম অনুসরণে শিক্ষার্থীরা যেমন নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হবে, তেমন গাণিতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ তৈরি করে বিশ্ব নাগরিকের ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন এই শিক্ষাক্রমে কেমন ছিল শিক্ষার্থীদের এক বছরের যাত্রা? পরীক্ষাবিহীন শিক্ষা অর্জনের পথে তাদের এই অভিজ্ঞতাই-বা ছিল কেমন?
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রায় ৩৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা জানিয়েছেন, নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি ও প্রতিবন্ধকতার কথা।
শিক্ষার্থীদের লাগছে ভালো
রাজধানীর হলিক্রস স্কুলের শিক্ষার্থী জেরিন ফ্লোরেন্স রোজারিও। এবার ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
জেরিনের কাছে কিছুটা অবাক করা ছিল তার ষষ্ঠ শ্রেণির কাজ। “প্রথমদিকে আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম যখন ক্লাসে টিচার বলছেন, আজকে বাসায় গিয়ে সবাই ঘর পরিষ্কার করবে। আর আগামীকাল এসে বলবে কে কী পরিষ্কার করেছ। ক্লাসের বেশিরভাগ ছাত্রীরাই টিচারকে জিজ্ঞাসা করেছিল- ম্যাডাম পড়া আর বাড়ির কাজ দিবেন না? ম্যাডাম উত্তর দিয়েছিলেন, এটাই তোমাদের পড়া আর বাড়ির কাজ।”
এরপর জেরিন বাড়ি ফিরে আগে ঝাড়ু খুঁজে বের করে। “আর আম্মুকে বলি, আজকে আমার এটাই বাড়ির কাজ আর পড়া। তবে পরিষ্কার করতে গিয়ে আমি বুঝেছি এটাও ঠিক সহজ না। তবে ইন্টারেস্টিং। আমার একদমই কষ্ট হয়নি আর ঘুমও পায়নি।”
এই কাজ করে কী উপলব্ধি হলো জেরিনের, তা জানিয়ে সে বলল- “আমি বুঝেছি ঘরে আম্মু আসলে যা কাজ করে, তা অনেক কঠিন। আমাদের কাজের মেয়েটার জন্যেও আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি এখন প্রায়ই আমার চকলেট তাকে দিই।”
মুখস্ত করার চেয়ে ব্যবহারিক ক্লাস থেকে আরও সহজে এবং দ্রুত সময়ে শিখতে পারছে বলে মনে হচেছ জেরিনের।
তার মতো বিএএফ শাহীন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম সিফাত, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের অর্পা রাণী সরকার, শহীদ আনোয়ার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের রাইসা হক, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আকবর আলী, ভিকারুননিসা নূন স্কুলের আইরা সানিয়া মির্জা, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাহফুজ ইসলাম আকন্দ, তেজকুনি পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভা চাকমা, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের আরাফাত খন্দকারসহ রাজধানী ও আশেপাশের প্রায় ২০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের একই অভিমত এই নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে।
গ্রেডিং পদ্ধতি না থাকায় সন্তুষ্টি
নতুন শিক্ষাক্রম মুখস্থ নির্ভরতা কমিয়েছে বলে মনে করছে ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া।
তার ভাষায়, “আগে আমরা যা পড়েছি, মুখস্থ করেছি, সেটা শুধু খাতায় লেখার জন্য করেছি। কিন্তু এটাও সত্যি যে, পরে সেটা আমরা ভুলেও গেছি। কিন্তু এখন হাতে কলমে করতে হচ্ছে, যা শিখছি সেটার উপর প্র্যাক্টিক্যাল থাকায় সেটার প্র্যাক্টিস হচ্ছে।
“স্কুলে জমা দেওয়ার বাইরেও ঘরে বাইরে সেটাকে ইউজ করে নতুন নতুন কিছু বানাচ্ছি। তাছাড়া ফেলনা জিনিসকে কাজে লাগিয়ে নানান কিছু বানানোর একটা যে ব্যাপার সেটি খুব চমৎকার লেগেছে।”
পরীক্ষা না থাকায় নিজের মেধা সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারছেন আগের থেকেও। এমনটি বলল আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিদুর রহমান সিয়াম।
“গত এক বছরে আমি ভালো স্টুডেন্ট হয়ে গেছি। আগেও ভালো ছিলাম। কিন্তু খাতায় লিখতে গেলে আমার অসুবিধা হতো। খালি ভুলে যেতাম। কখনও ক্লাসের প্রথম ২০ জনের মধ্যেও ছিলাম না। আর এখন যারা ফার্স্ট-সেকেন্ড হতো তারাও আমার থেকে আইডিয়া নেয়। আমার খুব ভালো লাগে।”
বাংলাদেশে এতদিন যে শিক্ষাক্রম চালু ছিল, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সেটিতে পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হতো। পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী গ্রেডিং হতো। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে সেই জায়গা থেকে সরে আসা হয়েছে।
এখন পরীক্ষার চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর শিখনকালীন মূল্যায়ন বা ধারাবাহিক মূল্যায়নকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
স্কুলে মূল্যায়নের জন্য মূলত দুটি ধাপকে বেছে নেওয়া হয়েছে। একটি হলো শিখনকালীন মূল্যায়ন আর অন্যটি হলো সামষ্টিক মূল্যায়ন।
শিখনকালীন মূল্যায়নে পর্যবেক্ষণ, প্রতিফলনভিত্তিক ও প্রক্রিয়ানির্ভর মূল্যায়ন, ধারাবাহিক মূল্যায়ন, সতীর্থ মূল্যায়ন, অংশীজন মূল্যায়ন, মূল্যায়নে টেকনোলজি (অ্যাপস) ব্যবহার করা হচ্ছে। সেগুলোর পরিসংখ্যান সহ সর্বশেষ তিন ঘন্টা করে তিনদিন রয়েছে সামষ্টিক মূল্যায়ন, যেখানে একটি শিক্ষাবর্ষে সবমিলিয়ে শিক্ষার্থী কতটুকু শিখেছে, কতটুকু ঘাটতি রয়েছে সে বিষয়ে মতামত দেন শিক্ষকরা।
এই পদ্ধতিতে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারে খুশি সিয়াম।
“আমি এতদিন জানতাম না আমার সমস্যা কোথায়। আব্বা-আম্মাও ভাবত আমি ফাঁকিবাজ। পড়াশোনা করি না। কিন্তু আমি করতাম ঠিকই, মনে রাখতে পারতাম না। এখন তো হুবহু মনে রাখার ব্যাপার নেই। কিন্তু সেটা সঠিক ভাবে বোঝার গুরুত্ব রয়েছে।”
সিয়ামের সহপাঠী আইরিন সুলতানাও একই কথা বলল।
“আমি বরাবরই ফার্স্ট গার্ল ছিলাম। তবে আমি উপস্থাপনে পিছিয়ে ছিলাম, নার্ভাস লাগতো। গত ক্লাসে আমাকে পোস্টার বানাতে হয়েছে, উপস্থাপন করতে হয়েছে। আমি খুব ভালো করতে পারছিলাম্ না, ক্লাসে হাততালি পাচ্ছিলাম না, টিচারের কমপ্লিমেন্ট পাচ্ছিলাম না। তাতে সাময়িকভাবে আমার অনেক মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছর অনেক কিছু শিখেছি।”
অভিভাবকদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টির জায়গা থাকলেও অভিভাবকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অভিযোগও করছেন তারা।
ঢাকা রেসিডেনশিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আপন দাস বলল, “আমি সবসময় ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম। আমাকে নিয়ে আমার প্যারেন্টস প্রাউড ফিল করত। তখন আমি সন্ধ্যা হলেই পড়তে বসতাম।
“কিন্তু নতুন এ কার্যক্রমে বই থেকে পড়ার তেমন কিছু নেই। কিন্তু অনেক কিছু শেখার আছে, সেগুলো আরও চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এখন আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। বকাঝকা বেড়ে গেছে। দলগত কাজে বাইরে যেতে চাইলে সেখানেও বাধা দেয়।”
এই ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে বাবা-মায়ের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হচ্ছে আপনের। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের আরেক শিক্ষার্থীরও একই অনুযোগ।
“সন্তানকে তো আগে বিশ্বাস করতে হবে। তাদেরকে স্পেস দিতে হবে। ডমিনেটিং বিহেভিয়ার থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাহলে সন্তানেরা তাদের কাছে সত্য কথা বলবে। তখন তারা আর মিথ্যার আশ্রয় নেবে না।”
আবার নতুন শিক্ষাক্রমে বাবা-মার সংস্পর্শ বেশি পাওয়ার সুযোগ পাওয়ার কথা জানাল রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাইমা নেওয়াজ সারা।
“এই এক বছরে আমি আমার বাবা-মাকে সব থেকে বেশি কাছে পেয়েছি। আমার বাবা-মা দুজনেই চাকরি করেন। খুবই ব্যস্ত থাকেন। আগে আমার পড়াশোনার জন্য একজন টিচার রাখা ছিল বাসায়। কিন্তু এখন আর টিচার লাগছে না, উল্টো আব্বু-আম্মুকে আমার সাথে সব অ্যাক্টিভিটিতে জয়েন করতে হচ্ছে।”
জাইমা বলল, “আমাদের অনেক ভালো সময় কেটেছে একসাথে। পোস্টার বানানো থেকে শুরু করে নানা ধরনের কাজ, যেখানে আবার বাবা-মাকেও কমেন্ট লিখতে হবে, এমন ব্যাপার ছিল। আমি আমার বাবা একসঙ্গে চিড়িয়াখানায় গেছি। আমি ডায়েরিতে ডেট অনুযায়ী সেগুলো লিখে রেখেছি। এটি সম্ভব হয়েছে নতুন এই শিক্ষাক্রমের জন্য।”
সারার মতো অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের ভালো লাগা প্রকাশ করেছে।
এবিষয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. অভ্র দাশ ভৌমিক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজেদের অভ্যস্ত হওয়ার ব্যাপার রয়েছে। সেখানে পরিবার থেকে যদি আরেকটু সহনশীল আচরণ না দেখানো হয়, সেটার ফলাফল ভালো আসবে না।”
শিক্ষার্থীদের মতে, নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে অভিভাবকদের যথেষ্ট তথ্য দেওয়া উচিৎ। আর এটি সকল প্রতিষ্ঠানে নিশ্চিত করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি।
দ্বিতীয় পর্ব পড়ুন : শহুরে শিশুরা শিখছে অনেক, গ্রামে রান্নাতেই আটকে
তৃতীয় পর্ব পড়ুন : শিক্ষকরা ‘প্রস্তুতি ছাড়াই যুদ্ধে’
চতুর্থ পর্ব পড়ুন : অভিভাবকরা দিশাহারা
শেষ পর্ব পড়ুন : ধাক্কা সামাল দিতে পারছে কি কর্তৃপক্ষ