স্কুলশিশুদের পাঠদান কিংবা গ্রহণ এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি আমূল বদলে দিয়ে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের অধীনে শিক্ষার্থীরা এক বছর পার করল। সরকার এই শিক্ষাক্রম চালু করার পর থেকে শুরু হয় বিতর্ক। তা থেমে নেই এখনও। নতুন শিক্ষাক্রমে এক বছরে শিক্ষার্থীরা কী শিখল, শিক্ষকরা তাদের কতটুকু শেখাতে পারল, অভিভাবকদের উদ্বেগ কতটা কাটল- তা খুঁজতে চেয়েছে সকাল সন্ধ্যা। তারই ধারাবাহিক প্রতিবেদনের চতুর্থ পর্ব।
প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সব মহলে কম-বেশি সমালোচনা হলেও সবচেয়ে বেশি আপত্তি এসেছে অভিভাবকদের মধ্য থেকে। তাদের আপত্তি আন্দোলনেও রূপ নিয়েছিল গত বছর।
সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধনেও নামে অভিভাবকরা। তেমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহকারী সচিব একটি মামলাও করেন একজন অভিভাবকের বিরুদ্ধে।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি দিয়ে শুরু হয়েছিল নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন। এবার তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন বই দেওয়া হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রমে এক বছর পেরিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, শিশুরা শিখতে পারছে না বলে তাদের মনে হয়েছে, আর সন্তানের পেছনে তাদের খরচও গেছে বেড়ে।
খরচ বেড়েছে যেভাবে
ঢাকায় একটি বেসরকারি আইটি ফার্মে কর্মরত আতিকুর রহমান। তার ছেলে আরিফুর রহমান ধানমণ্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার সপ্তম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
সকাল সন্ধ্যাকে আতিক বলেন, “আমার ছেলে হঠাৎ ঘরের কাজে মাকে সাহায্য করার আগ্রহ দেখালো। কাজও করলো। ঘর ঝাড়ু দেওয়া, রান্নায় হেল্প করা। আমি, আমার স্ত্রী দুজনেই এটিকে খুব পজিটিভলি নিয়েছি।
“তবে সমস্যা বাধল, যখন আমার কাছে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার আবদার করল। শিক্ষক তাকে নাকি বলেছে, যেসব কাজ সে ঘরে করছে এবং বাইরে করছে, সেগুলোর ছবি তুলে প্রিন্ট করে পোস্টারে লাগিয়ে জমা দিতে হবে। আর এমন অ্যাক্টিভিটি তাকে প্রায়ই করতে হবে। প্রথমে বারণ করলেও পরে অফিস থেকে ধার করে আমি একটি ফোন কিনে দিই।”
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে শিক্ষা উপকরণের পেছনে এমন আরও খরচ বাড়ছে জানিয়ে আতিক বলেন, “সংসারের নেসেসারি আইটেম ম্যানেজ করতেই এখন হিমশিম খেয়ে যাই, তার উপর এসব এক্সট্রা বার্ডেন ছাড়া কিছু না। কিশোর বয়সী ছেলের তো বোঝার কথা না যে বাপের পরিশ্রমের ঘাম মাথা বেয়ে কোথায় গিয়ে ঠেকে।”
হলিক্রস স্কুলে পড়ুয়া আরেক শিক্ষার্থীর মা ফাওজিয়া বিনতে রুপা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরাও তো পড়াশোনা করে আসছি। ইউনিভার্সিটি শুরু করার আগে কখনও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয়তা মাথায় আসেনি। আর এখন তো ফোন ল্যাপটপ ইন্টারনেট-এগুলোই শিক্ষা উপকরণ।
“কালার পেপার লাগবে, রঙ তুলি লাগবে, কালার পেন্সিল লাগবে, মার্কার লাগবে- মোট কথা অর্থ লাগবে। এটাই আমার অভিজ্ঞতা আমার ক্লাস সিক্সের মেয়েকে নিয়ে গত এক বছরে।”
সন্তানের পেছনে প্রতিমাসে গড়ে ৪০ শতাংশ খরচ বেড়েছে বলে দাবি করেন বিএএফ শাহীন স্কুল ঢাকার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া জুবায়ের হোসেনের বাবা আব্দুর রহমান।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “স্কুলের রেফারেন্স দিয়ে নানা প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে সেটি আদায় না করা পর্যন্ত খাবে না, স্কুলে যাবে না, এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে আমার ছেলে। পরে বাধ্য হয়ে ল্যাপটপ কিনে দিতে হয়েছে তাকে, যার বাজেটই আমার ছিল না।”
অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করে সংসার চালান নারায়ণগঞ্জের ছাত্তার মিয়া। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আগে এলাকায় মাইকিং হইত সরকারি স্কুলে ছেলেমেয়ে পাঠান। পড়াশোনায় কোনও খরচ নাই। আমার দুই ছেলে মেয়েরেই স্কুলে পাঠাইছি।
“কিন্তু গত বছর ভালোই ঝামেলাই পড়লাম। নতুন কী নিয়ম হইল, মেয়েটা খালি টাকা চায়। এটা কিনতে কয়, ওইটা কিনতে কয়। বই যদি বিনা টাকায় দেয় তাইলে এডিও (এগুলোও) দিতে পারে তো।”
যে আয় হয় তাতে সংসার চালানো কঠিন ছাত্তার মিয়ার জন্য। তার উপর সন্তানের পড়াশোনার বাড়তি খরচ জোগানো আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
গণিত ও বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়ার অভিযোগ
ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ফারদিন হোসেন। বাবা ফায়েজ হোসেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আমার ছেলে বরাবরই ম্যাথে দুর্দান্ত। ছোট থেকে সেভাবেই তাকে গাইড করা হয়েছে। ম্যাথে আলাদা টিউটর রাখা হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে তার প্রগ্রেস বাড়েনি। বরং কমে গেছে।
“স্কুলের আদারস সব অ্যাক্টিভিটি আমি দেখি ঘুরেফিরে একই। গণিতের প্রতি তার আগ্রহ একেবারেই আর নেই। সারাক্ষণ কালার পোস্টার, মোবাইল ফোনে ছবি তোলা, গ্রুপ মেম্বারদের সাথে সেগুলো নিয়ে আলাপ করা, এই করে এক বছর পার করে দিল।”
ক্ষোভ নিয়ে এই অভিভাবক বলেন, “আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গিনিপিগের মতো এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে। এখন অব্দি দেশে অনেকগুলো শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে। সবগুলাই আসলে নিজস্ব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল।
“কয়দিন আগেই তো সৃজনশীল ব্যবস্থা এল। তখনকার জন্য সেটাই সেরা ছিল। এখন আবার নতুন শিক্ষাব্যবস্থা। এটা তো ছেলেখেলা না।”
ফয়েজের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আরেক অভিভাবক শাহানারা পারভিন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “দেশে রাস্তা খোঁড়াখুড়ির যেমন কোনও শেষ নেই, শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও স্টেডি কিছু নেই।
“ভিকারুননিসায় পড়াচ্ছি মেয়েকে। এবার ক্লাস নাইনে উঠলো। স্বপ্ন ছিল বুয়েটে পড়াব। সেভাবেই মেয়েকে তৈরি করছিলাম। মেয়েটাও পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী। ক্লাসে সেকেন্ড হয়নি কখনও। বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিলে অ্যাওয়ার্ড না নিয়ে ফেরেনি।
“কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে বিভাগ চুজ করার অপশন নাই। সামনে কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ব্যবস্থা কীভাবে কী হবে, বুঝতে পারছিনা। মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আছি।”
ঝিনাইদহ পৌর মডেল বিদ্যালয় থেকে এবার সপ্তম শ্রেণিতে উঠল মরিয়ম আক্তার তামান্না। বাবা জয়নাল হক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বিজ্ঞানের ছিটেফোঁটাও শেখাচ্ছে না স্কুলগুলো। বিজ্ঞানের নামে হরেক রকম আইটেম করিয়ে বেড়াচ্ছে। বলছে টিজিতে (শিক্ষক সহায়িকা) এভাবেই পড়ানোর নিয়ম।
“মেয়েকে সৌরচুল্লী বানাতে হবে। সে সেই চুল্লি কীভাবে বানাবে, আরও সুন্দর কালারফুল করবে, তাই নিয়ে ব্যস্ত ছিল। বেসিক দুটো প্রশ্নের আন্সারও দিতে পারেনি। তার আগ্রহ ইউটিউবে ভিডিও দেখে সেটা কীভাবে দেখতে হয়, সেই আদলে আরেকটা বানানো। এভাবে তো তাদের মস্তিষ্ক ডাল হয়ে যাচ্ছে।”
মূল্যায়ন নিয়ে অসন্তুষ্টি
উত্তরা মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাসনা হেনা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, নতুন নিয়মে মূল্যায়ন মানেই তো হচ্ছে শিক্ষককে ‘প্লিজড’ করা। তাদের হাতেই সব মূল্যায়ন। তারা চাইলে ভালো দেবে, চাইলেই খারাপ দিবে। আর তা চ্যালেঞ্জ করারও সুযোগ নেই।
“আগে এক দুইটা সাবজেক্টে ব্যাবহারিক পরীক্ষা হিসেবে মূল্যায়ন ছিল শিক্ষকদের হাতে। তাও ২৫ মার্কস। সেখানেও দেখা যেত শিক্ষকরা টাকার বিনিময়ে ব্যবহারিক খাতায় সাইন করে দিয়ে রমরমা ব্যবসা করত। এখন তো ১০০ মার্কসই শিক্ষকদের হাতে।”
‘শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবার দাবি, নতুন শিক্ষাক্রমে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হবে। কিন্তু সেটি বন্ধ করে নতুন বাণিজ্য চালুর পথ খুলেছে,” বলেন এই অভিভাবক।
হলিক্রস স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর চাচা এন্টেনিও রোজারিও সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “তার বাবা-মা একটি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর থেকে সে আমার কাছে সবচেয়ে বড় রেসপনসেবলিটি। দাদা কে কথা দিয়েছিলাম মেয়েকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়তে পাঠাব।
‘কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যক্রমে আমি একেবারেই হতাশ।
“আগে ক্লাসে অন্য শিক্ষার্থীকে বিট করে ৯০ থেকে ৯১ পাওয়ার প্রতিযোগিতা ছিল। আর এখন ফাঁকিবাজির প্রতিযোগিতা চলছে। কারণ তারাও বুঝে গেছে, ত্রিভুজ-বৃত্ত-চতুর্ভুজ দিয়েই এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উর্ত্তীর্ণ হওয়া যায়।”
শিক্ষার্থীদের পদস্খলনের ঝুঁকি বাড়ছে
দলগত কাজ ও ডিভাইসকেন্দ্রিক হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অল্প বয়সেই ভুল পথে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করেন অনেক অভিভাবক।
ঢাকার নামি একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাবা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সন্ধ্যা ৬টা, বড় জোর ৭টার মধ্যে ঘরে ফেরার নিয়ম ছিল। খেলাধুলা বলেন এক্সট্রা এক্টিভিটি বলেন সব সন্ধ্যার মধ্যে কমপ্লিট করে ঘরে ফিরতে হতো।
“এখন সে রাত ১০টা, মাঝে-মধ্যে ১১টার পরেও ফিরে। প্রশ্ন করলে বলে গ্রুপ ওয়ার্ক। ঘরে ফিরে সারাদিন ফোনের মধ্যে ডুবে থাকে। ওর মা টের পেল যে, সে গেইম খেলে ফোনে। গ্রুপ ওয়ার্কে জুম মিটিংয়ে আড্ডা-হাসি নিয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে।”
“বই থেকে যেহেতু পড়ার কিছু নেই, তাই ডিভাইসই একমাত্র মাধ্যম। এখন আমাদেরও তো কাজ আছে। সন্তানকে সময় দেওয়ার বাইরেও অফিস ঘর সব সামলাতে হয়। ২৪ আওয়ার্স তো সামনে বসে থাকা যায় না,” বলেন এই অভিভাবক।
আরেক অভিভাবক বলেন, “যখন-তখন বাইরে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন দেখতে পাই ছেলের মধ্যে। পরে জানতে পারি, দলগত কাজের কথা বলে বাইরে সে নিয়মিত সিনেমা দেখার পাশাপাশি অনলাইন জুয়াতেও আসক্ত হয়েছে। পোস্টার পেন্সিল নানারকম কাজের কথা বলে টাকা নিয়ে অনলাইনে বেটিং করে।
“বাইরে গিয়ে নিজের খেয়াল মতো বন্ধু নির্বাচন কিংবা হাতে ডিভাইস না থাকলে এই প্রবণতা হয়ত আসত না।”
নিত্যনতুন অজুহাত সামনে নিয়ে আসছে শিশুরা, কিন্তু কড়া শাসনও এখন আর করা যাচ্ছে না, অভিভাবকরা পড়ছেন দোটানায়।
গত বছর নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের শুরুতেই পাঠ্যবই নিয়েও নানা অভিযোগ ও আপত্তি ওঠে। বিজ্ঞান বইয়ে দূর্লভ ভাষায় বিদেশি সাইট থেকে হুবহু তুলে দেওয়ার প্রমাণ কেউ কেউ তুলে ধরেন সোশাল মিডিয়ায়।
সামাজিক বিজ্ঞান বই নিয়ে নানা অসঙ্গতি ও ভুল তুলে ধরার এক পর্যায়ে এনসিটিবি বাধ্য হয়ে বইটি তুলে নেই। এরপর এনসিটিবি উদ্যোগী হয়ে নতুন পাঠ্যবইয়ের বিষয়ে স্কুলগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া শুরু করে। শেষে বইয়ের লেখক-সম্পাদকদের একসঙ্গে বসিয়ে ভুলের তালিকা করে সেগুলো স্কুলে পাঠায়।
অভিভাবকদের আন্দোলন
গত বছর নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করে সেটি বাতিল ও দেশের আর্থ- সামাজিক প্রেক্ষাপটে যুগোপযোগী নতুন শিক্ষাক্রম চালুসহ ৮ দফা দাবি জানিয়ে গড়ে উঠে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানিয়ে পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধনও করে তারা।
সম্প্রতি ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং শহীদ মিনারের সামনে অভিভাবকদের উদ্যোগে দুটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাদের ৮ দাবি হলো- শিক্ষানীতিবিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে; নম্বরভিত্তিক ২টা সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নাম্বার) চালু রাখতে হবে এবং ক্লাস টেস্টগুলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (৪০ নম্বর) হিসাবে ধরতে হবে; নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখতে হবে; ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুৰ্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করে নম্বর ও গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে; শিখন ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সব প্রজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে; শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রজেক্টের কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে; প্রতি বছর প্রতি ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি ২টা পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে; সব সময়ে সব শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রিপরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করতে হবে।
তৃতীয় পর্ব পড়ুন : শিক্ষকরা ‘প্রস্তুতি ছাড়াই যুদ্ধে’
দ্বিতীয় পর্ব পড়ুন : শহুরে শিশুরা শিখছে অনেক, গ্রামে রান্নাতেই আটকে
প্রথম পর্ব পড়ুন : শিক্ষার্থীরা কী শিখছে, কীভাবে শিখছে