Beta
বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
নতুন শিক্ষাক্রমের ১ বছর

ধাক্কা সামাল দিতে পারছে কি কর্তৃপক্ষ

ছবি : আনিসুর রহমান লিটন
ছবি : আনিসুর রহমান লিটন
[publishpress_authors_box]

স্কুলশিশুদের পাঠদান কিংবা গ্রহণ এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি আমূল বদলে দিয়ে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের অধীনে শিক্ষার্থীরা এক বছর পার করল। সরকার এই শিক্ষাক্রম চালু করার পর থেকে শুরু হয় বিতর্ক। তা থেমে নেই এখনও। নতুন শিক্ষাক্রমে এক বছরে শিক্ষার্থীরা কী শিখল, শিক্ষকরা তাদের কতটুকু শেখাতে পারল, অভিভাবকদের উদ্বেগ কতটা কাটল- তা খুঁজতে চেয়েছে সকাল সন্ধ্যা। ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পঞ্চম ও শেষ পর্ব।

গত বছর নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের শুরুতেই উঠেছিল বিতর্ক। এমনটা হবে, তা আঁচ করেছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম তারিক আহসান।

তার ভাষ্যে, “আমাদের ডিজাইনের প্ল্যানেই ছিল এমন একটা ধাক্কা আসবে। কারণ এটা একটা রূপান্তর, যে রূপান্তরের ফলে মানুষের বিশ্বাসের জায়গাগুলোতে এবং রেগুলার প্র্যাক্টিসের জায়গাগুলোতে বড় পরিবর্তন আসা শুরু করবে।”

তবে এক বছর পেরিয়েও অবসান হয়নি বিতর্কের। শিক্ষকরা এখনও অনেকটাই দিকভ্রান্ত, অভিভাবকরাও উৎকণ্ঠিত, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যদের সমালোচনাও থামেনি।

তার মধ্যেই নতুন শিক্ষাক্রমে এক বছর পড়ে এল প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। ২০২৩ সালে এই চারটি শ্রেণি দিয়ে শুরু হয়েছিল নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন। যেখানে বই ছিল আগের চেয়ে ভিন্ন, ভিন্ন ছিল পাঠদানের প্রক্রিয়া, মূল্যায়নের পদ্ধতিও যায় বদলে।

এবার তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিও এসেছে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায়। আগামী বছর পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ শ্রেণিতে এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন প্রক্রিয়ার প্রয়োগ শুরু হবে।

যেভাবে এল নতুন শিক্ষাক্রম

বাংলাদেশে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠিত হয় স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে। সেই কমিশনের প্রধান ছিলেন বিজ্ঞানী কুদরত-ই-খুদা। ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চারটি মূলনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রতিবেদন দেয় ওই কমিশন।

এরপর গত ৫০ বছরে একাধিক শিক্ষা কমিশন ও তাদের বিভিন্ন সুপারিশের আওতায় শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে সেসব কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন তেমন দেখা যায়নি। 

এরমধ্যেই ২০১০ সালে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ সরকার। তার আগে ১৯৯২ সালে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতি চালু হয় মাধ্যমিকে। ২০০১ সালে বিভাগ পদ্ধতি বাদ দিয়ে আসে গ্রেড পয়েন্ট গড় (জিপিএ) পদ্ধতি। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা বাদ দিয়ে আসে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। সেদুটি পরীক্ষাও আবার বাদ দেওয়া হয় ২০২০ সালে। ২০১০ সালে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু হলেও তা আবার বন্ধ হলো নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগের ধাপে ২০২২ সালে ৬২টি বিদ্যালয়ে পাইলটিং প্রকল্প পরিচালনা করা হয়। ২০২৩ সালে শুরু হয় তার প্রয়োগ।

শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে গত এক দশকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, যা নিয়ে বরাবরই উঠেছে প্রশ্ন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন, মান উন্নয়নের পরিবর্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শিক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “শিক্ষাক্রম নিয়ে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে সেসব সম্পূর্ণ অন্যায়। কোনো গবেষণা ছাড়া এবং শুধু অন্যের অনুলিপি করে এটি বাস্তবায়ন করা যাবে না।

“স্বাধীনতার পর থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের নামে এমন সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে তিন ধারার শিক্ষার পারস্পরিক দূরত্ব আরও বেড়েছে। শিক্ষা সংস্কারের যতগুলো চেষ্টা হয়েছে, প্রতিটিতেই ক্ষতি হয়েছে মূলধারার বাংলা মাধ্যমের।”

তবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যুক্তরা বলছেন, যুগের প্রয়োজনেই এই পদক্ষেপ।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “যুগের প্রয়োজনেই কারিকুলাম আপডেট করে আধুনিক শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি আমরা। বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গেলে আমাদের এই শিক্ষাক্রমে যেতে হবে।”

শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করছে, ‘যোগ্যতা’ ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা সচল হলে একজন শিক্ষার্থী সৎ, উদ্যমী, গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন, অসাম্প্রদায়িক মানবিকতার পরিচয় বহন করে যেমন ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে, তেমনি অন্যের মতামত ও অবস্থানকে সম্মান ও অনুধাবন করার দক্ষতা অর্জন করবে। ফলে শিক্ষার্থীরা সূক্ষ্ম চিন্তার মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে সবার জন্য যৌক্তিক ও সর্বোচ্চ কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এছাড়া এই শিক্ষাক্রম অনুসরণে শিক্ষার্থীরা যেমন নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হবে, তেমন গাণিতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ তৈরি করে বিশ্ব নাগরিকের ভূমিকা পালন করবে বলে মন্ত্রণালয়ের আশা।

অধ্যাপক এম তারিক আহসান।

জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম তারিক আহসান পরিবর্তনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, আগের শিক্ষাব্যবস্থাটি প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলেছে। এটি শিল্পবিপ্লবের ফলে যেরকম জনবল প্রয়োজন হত, সেটিকে বিবেচনায় রেখে তৈরি। পরে তার সঙ্গে যুক্ত হয় উপনিবেশিকতা টিকিয়ে রাখতে যেরকম অনুগামী জনবল দরকার, সেটা তৈরির কথা মাথায় রেখে। সেখান থেকেই মুখস্থনির্ভর, শিক্ষকনির্ভর এবং পরীক্ষানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার শুরু।

নতুন শিক্ষাক্রম সেখান থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়াস বলে মনে করছেন তিনি।

“নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই এক একটি রিসোর্সবুক। তোতাপাখির মতো পড় আর পরে ভুলে যাও, এমনটা আর হবে না। এতে পাঠের তথ্য শিক্ষার্থীরা কীভাবে সংগ্রহ করবে, তার উল্লেখ আছে। শিক্ষকরা আগের মতো মুখস্থ গ্রহণ করবেন না। আবার শেখার জন্য শিশুকে শিক্ষকের কাছে বা নোট-গাইডের ওপর নির্ভর করতে হবে না। এর পরিবর্তে তারা নিজের সহপাঠী, পরিবার ও সমাজ থেকে শিখবে। শিক্ষক শুধু এখানে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।”

নতুন শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান শিক্ষা সীমিত হয়েছে বলে অভিযোগের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) এই অধ্যাপক বলেন, “আমাদের বিজ্ঞান বিষয়ে একমুখী শিক্ষা ছিল ষাটের দশকের আগে এবং ব্রিটিশরাও প্রথম দিকে যে মডেলটা দিয়েছিল, সেখানেও সবাই বিজ্ঞানটা কমনভাবেই পড়ত।

“বিজ্ঞান, বাণিজ্য, কলা প্রথম ভাগ হলো ১৯৫৯ সালে শরীফ কমিশন রিপোর্টের মাধ্যমে পাকিস্তান সময়ে। সেটাই চলছিল। কিন্তু এর ফলে এসএসসি পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ২০ ভাগ বিজ্ঞান বিভাগে আসে, আর তাদের প্রায় ১০ ভাগ ইন্টারমিডিয়েটে গিয়ে আর বিজ্ঞান নেয় না। মানে আমার ৯০ শতাংশ স্টুডেন্ট বিজ্ঞান পড়ছিল না।

“বিজ্ঞান শিক্ষার বড় উদ্দেশ্য যেটা ছিল, অর্থাৎ অনুসন্ধিৎসু মন, প্রবলেম সলভিং স্কিল এবং একটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে জীবনের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা। এই জিনিসগুলো কিন্তু ৯০ শতাংশ স্টুডেন্টের কাছে মিসিং হয়ে গেল। আবার সুযোগ-সুবিধা ও নানা বিবেচনায় শহর-গ্রামের একটা বড় পার্থক্য তৈরি হলো। জেন্ডার বৈষম্যও তৈরি হয়েছে যে ছেলেরা বিজ্ঞান পড়বে, মেয়েরা বিজ্ঞান পড়বে না।”

“সার্বিকভাবে নতুন কারিকুলাম এবং বিভাগ উঠিয়ে দেওয়াতে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনস্ক ও অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জীবনের সমস্যার সমাধান তো শিখবেই, সেই সঙ্গে বিষয়ভিত্তিকভাবে যারা পরবর্তীতে বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষায় যাবেন, তাদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে,” মনে করেন তিনি।

অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে অধ্যাপক তারিক বলেন, “আমাদের শহরকেন্দ্রিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের বেশি উদ্বিগ্ন দেখা যাচ্ছে। গ্রামের অভিভাবকদের সেরকম আপত্তির কথা শোনা যায়নি। আবার শহরের তথাকথিত ভালো স্কুলগুলোর অভিভাবকদের কনসার্ন বেশি। তথাকথিত ভালো বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি পরীক্ষায় যারা জিপিএ পাওয়ানোতে পারদর্শিতা দেখায়।

“এসব জায়গায় একটা বড় ধাক্কা লেগেছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের এই জায়গাটাতে কনসার্ন আসবে এবং আমরা এটাকে পজিটিভলি নিচ্ছি।”

তবে এর পেছনে কোচিং সেন্টার, গাইড বই ব্যবসায়ীদের ইন্ধনও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

“তারা এমন প্রচারও করেছে যে এই কারিকুলাম টিকবে না, আপনারা আপনাদের সন্তানদের আমাদের কাছে আগেই মতোই পড়ান। পরবর্তী সময়ে মাউশি এটির মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এমনও আমরা দেখেছি, মনিটরিং যখন শুরু হলো শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে ফিডব্যাক দিয়েছে যে, শিক্ষকরা তাদের এই এক্সপেরিমেন্টগুলো অনেক ক্ষেত্রে করাচ্ছিলেন না। যখনই মনিটরিং শুরু হয়েছে, শিক্ষকরা করানো শুরু করেছেন।”

অর্থ ব্যয় বেড়ে যাওয়া নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক তারিক বলেন, “আমাদের এই শিক্ষাক্রমের কোনো জায়গায়ই বলা হয়নি যে এক্সপেন্সিভ উপকরণ ব্যবহার কর বা শিক্ষার্থীদের এই উপকরণের ভার বহন করতে হবে।

“দেখার বিষয় হলো- আমরা বলেছি কী আর কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান কী করেছে? আমরা বলেছি শিক্ষাক্রমের উপকরণগুলো হবে রিসাইকল, রিইউস করার মতো। অর্থাৎ যেগুলোকে ফেলে দিতে হতে পারে প্লাস্টিক বোতল, হতে পারে বাক্স, হতে পারে পুরনো ক্যালেন্ডার, হতে পারে ফেলে দেওয়া নিউজপেপার এসব।”

এখানে শিক্ষকদের দায়ী করে তিনি বলেন, “শিক্ষকরা অধিকমাত্রায় কোচিং বাণিজ্যে জড়িত, টিউশনিতে ব্যস্ত, তাদের হাতে সময় নেই যে শিক্ষার্থীদের দিয়ে এই ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজগুলো করাবেন। তখনই তারা এক্সপেন্সিভ উপকরণগুলো অভিভাবকদের মাধ্যমে নিয়ে আসার জন্য মতামত দিচ্ছেন।”

এই বিষয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগ প্রশমনে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) শিগগিরই অভিভাবকদের নির্দেশনা দিতে পারেন বলে জানান অধ্যাপক তারিক।

শিক্ষার কর্তাব্যক্তিরা নতুন শিক্ষাক্রমের পক্ষে অবস্থান জানালেও গত বছরের পর এই বছরও বিতর্ক আর সমালোচনার প্রেক্ষাপটে কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি যাচাই করতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত সম্প্রতি নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নতুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরুর সময় দীপু মনি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী, তার সঙ্গে উপমন্ত্রী ছিলেন নওফেল। শিক্ষাক্রম নিয়ে দুজনের মতৈক্য যে ছিল না, নওফেলের পদক্ষেপে তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

দুদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী নওফেল সংসদে বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা সরকারের না থাকলেও নতুন পদ্ধতি আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের পথ খুঁজছেন তারা।

এদিকে কয়েকজন শিক্ষক সকাল-সন্ধ্যাকে বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম টিকবে না বলে তারা শুনতে পাচ্ছেন। শিক্ষার্থী মূল্যায়নে পরীক্ষাও আবার ফিরতে যাচ্ছে।

তা যদি হয়, তাহলে প্রবীণ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সেই সমালোচনাই ফিরে আসবে, শিক্ষার্থীদের ওপর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল কখনও ভালো কিছু দিতে পারে না।

চতুর্থ পর্ব পড়ুন : অভিভাবকরা দিশাহারা

তৃতীয় পর্ব পড়ুন : শিক্ষকরা ‘প্রস্তুতি ছাড়াই যুদ্ধে’

দ্বিতীয় পর্ব পড়ুন : শহুরে শিশুরা শিখছে অনেক, গ্রামে রান্নাতেই আটকে

প্রথম পর্ব পড়ুন : শিক্ষার্থীরা কী শিখছে, কীভাবে শিখছে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত