অবৈধ সম্পদ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম তারিখ ঠিক করে দেন।
দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এতথ্য বলেন, “আজ মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। তারা সংক্ষিপ্ত যুক্তিতর্ক তুলে ধরেছেন। আমরাও রিপ্লাই দিয়েছি। এরপর আগামী ৩০ জানুয়ারি পুনরায় রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।”
জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর। সেসময় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মা-ছেলের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন।
এরপর ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরে ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
এই মামলার তদন্তে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিল দুদক।
২০১৯ সালে দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে নিজ কার্যালয় থেকে জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেসময় গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মোট তিনটি মামলা হয়েছিল।
গ্রেপ্তারের আগে শামীম নিজেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে। কখনও যুবলীগের সমবায়বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আবার কখনও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবেও পরিচয় দিতেন। যদিও তার সঙ্গে যুবলীগের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করা হয়নি।
আলোচিত এই ঠিকাদার পরিচিত ছিলেন সাতজন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরার কারণে। ক্ষমতা দেখিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বড় ঠিকাদারী কাজের প্রায় সবই নিজের প্রতিষ্ঠানের দখলে নিতেন তিনি।