হালে সিনেমা, সোজা চুল, শাড়ি নিয়ে আলোচনার তুঙ্গে ছিলেন জেফার রহমান। এ বছর চরকিতে মুক্তি পাওয়া মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’ সিনেমা দিয়ে গায়িকা থেকে নায়িকা বনে গিয়েছেন তিনি।
তবে ভক্তদের আবারও চমক দিতে এবার ‘স্পাইসি’ গান নিয়ে এসেছেন তিনি; গত ১২ মে স্পটিফাই এবং ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে নতুন এই কোলাব।
ওকেব্রো রেকর্ডসের চ্যানেলে প্রকাশ পাওয়া এই গানের ভিডিও নিয়ে বলা আছে, “জেফার, ফুয়াদ, সঞ্জয় এবং হ্যাজেল রোজ এবার নিয়ে এলো বছরের সেরা গরম কোলাব।”
ওকেব্রো রেকর্ডস গানটির অফিসিয়াল প্রডাকশন কোম্পানি।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিল্পীদের ‘কোলাবরেশন’ নতুন কিছু নয়। দুনিয়া জুড়ে সাড়া জাগানো গান ‘কাম ডাউন’ ছিল একটি কোলাবোরেশন প্রকল্প; যেখানে এক সঙ্গে কাজ করেছেন নাইজেরিয়ান র্যাপার রেমা এবং আমেরিকান শিল্পী-গীতিকার সেলেনা গোমেজ।
স্পাইসি কোলাবে জেফারের সঙ্গে আরও কন্ঠ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের পপ শিল্পী এবং গীতিকার হেজেল রোজ।
বাংলাদেশি-আমেরিকান সংগীত শিল্পী এবং বলিউডের ডিজে হয়ে ওঠা সঞ্জয় এই কোলাবরেশন প্রকল্পে প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। আর সঙ্গীতশিল্পী ও পরিচালক ফুয়াদ আল মুক্তাদির কোলাবে একাধারে একজন নির্বাহী সঙ্গীত প্রযোজক এবং আয়োজক।
ইংরেজি এই গানের গীতিকার গ্র্যামি মনোনয়ন পাওয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের আরেক সঙ্গীতশল্পী র্যাচেল ওয়েস্ট।
‘স্পাইসি’ কোলাব দিয়ে আবারও ইংরেজি গানে ফিরেছেন জেফার। ২০১৯ সালে ‘ডার্টি ট্রিকস’ ছিল তার সবশেষ ইংরেজি গান। গত পাঁচ বছর সিনেমা ও ওয়েব কনটেন্টে বাংলা গান করেছেন তিনি।
ইউটিউবে প্রকাশ পাওয়ার পর এরমধ্যে সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি ভিউ পেয়েছে ‘স্পাইসি‘।
জেফারের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্য একেকটি ভিডিওতে লাখ লাখ ভিউ দেখা যায়।
‘স্পাইসি’ কোলাবে ওয়েস্টার্ন পপের ছোঁয়া আছে; আবার সঞ্জয়-ফুয়াদের মুন্সিয়ানায় মেলবন্ধন ঘটেছে ইডিএম, টেকনো এবং হিপহপ ধারার।
ইংরেজি এই কোলাবে মজে ভিডিওর তলে প্রশংসা করেই মন্তব্য করেছেন শ্রোতা।
কেউ বলেছেন এই গান ‘হলিউড টাইপ’, আবার কেউ বলেছেন ‘এই গান আসলে একটা বোমা’।
অনেকেই মিউজিক ভিডিওতে জেফারকে দেখে মন্তব্য করেছেন, এই গান খুব ‘ঝাল’।
জেফারের পাশাপাশি ফুয়াদকেও সাধুবাদ দিয়েছেন অনেকে। শ্রোতাদের প্রত্যাশা আগামীতে ফুয়াদ ও জেফার মিলে আরও কাজ করবেন।
‘স্পাইসি’ অনেকের কাছে যেমন ‘সেরা’ মনে হয়েছে, অনেকে আবার ‘ততটা জমেনি’ বলে জানিয়েছেন।
অনেক মন্তব্যের ভিড়ে মাহমুদুল হাসান লিখেছেন. “আপনার (জেফার) হালের গানগুলো আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আর ফুয়াদ তো বরবার মাস্টারক্লাস। কিন্তু এই গানটা একেবারে হতাশ করল আমাকে। অনেক বেশি অটোটিউনের ব্যবহার এতে। হৃদয়ে দোলা লাগেনি, বরং খানিক একঘেয়ে লেগেছে। সম্ভবত আপনার কোনো গান এই প্রথম অর্ধেক শুনে বাদ দিলাম।”
ইংরেজি এই গানের মাঝামাঝিতে চমক হিসেবে আছে বাংলা কথাও। এর আগে জনপ্রিয় হওয়া ফুয়াদের ‘সোনা বন্ধু’ গান থেকে সামান্য অংশ গাওয়া হয়েছে ’স্পাইসি’ কোলাবেও; ইউটিউবে তোলা ভিডিওতে মন্তব্য বলে দিচ্ছে, শ্রোতাদের কান এড়ায়নি তা।