২০১৩ সালে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। মরক্কোর ফুটবল ক্লাব রাজা কাসাব্লাঙ্কার কাছে হেরে গেল ব্রাজিলের আতলেতিকো মিনেইরো। দলটির একাদশে ছিলেন রোনালদিনহো। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজা মাত্র দর্শক নয়, বিপক্ষ দলের ফুটবলাররা ছুটে গিয়েছিলেন ব্রাজিল লিজেন্ডের দিকে।
রোনালদিনহোকে ঘিরে ধরে তারা আবদার জানিয়ে যাচ্ছিলেন একের পর এক। কেউ নিলেন তার জার্সি, কেউ শর্টস, দুজনে নিলেন এক পাটি করে জুতা। এমনকি মাথার হেড ব্যান্ড, পায়ের মোজা সব; রোনালদিনহোর দিগম্বর হয়ে মাঠ ছাড়া বাকি ছিল শুধু।
এক যুগ পর নেইমারের সান্তোসে ফেরার দিনে একই রকম দিন ফিরল। একটু ব্যতিক্রম অবশ্য। বিপক্ষ দলের ফুটবলাররা ম্যাচ শেষে নেইমারের দিকে ছুটলেও তার জামা-প্যান্ট চেয়ে নেননি। হালের ফ্যাশন মেনে তুলেছেন ছবি।
Botafogo players lining up to take photos with Neymar after the game 😭pic.twitter.com/8SXrNSLXi1
— All Things Brazil™ 🇧🇷 (@SelecaoTalk) February 6, 2025
বুধবার ব্রাজিল ক্লাব বোটাফোগোর সঙ্গে হারেনি নেইমারের সান্তোস। ১-১ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি। সান্তোস না জিতলেও নেইমার দর্শক হৃদয় জয় করেছেন। গোল পাননি, তবে ড্রিবলিং স্কিল দেখাতে পেরেছেন। তাতে গ্যালারীতে দর্শকদের করতালি উঠেছে, সঙ্গে উল্লাসধ্বনি।
ম্যাচ শেষে নেইমারের সঙ্গে ছবি তুলেছেন বোটাফোগোর সবাই। বিন্দুমাত্র বিরক্ত হননি ব্রাজিল তারকা। হাসিমুখে দেশি কলিগদের দাবি মিটিয়েছেন। সৌদি আরবের আল হিলালে মাত্র চার ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল নেইমারের। দুটি মৌসুম তার ইনজুরিতেই কেটেছে।
ছন্দে ফিরতে তাই কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন নেইমার, “আমার আরও খেলতে হবে, আরও মিনিট, আরও ম্যাচ। আমি এখনও শতভাগ ফিট না। তবে আজ রাতে যতটা দৌড়েছি এতটা পারব ভাবিনি। আরও তিন-চার ম্যাচ পর আমি আরও ভালো বোধ করবো।”
সান্তোসে মাত্র ছয় মাসের জন্য এসেছেন নেইমার। এই চুক্তি বাড়তেও পারে। নেইমারকে দেখতে সান্তোসের ২০ হাজার ধারণক্ষমতার ভিলা বালমিরো স্টেডিয়াম পুরোটাই ছিল ভর্তি।