বাংলাদশের মেয়েদের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০ বছর পর জয়ের দেখা পেয়েছিল প্রথম ম্যাচেই। স্কটল্যান্ডকে হারানোর পর ইংল্যান্ডকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেননি নিগার সুলাতানার।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিধ্বস্তই করেছিল বাংলাদেশকে। শনিবার নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের কাছেও তারা হারলেন ৭ উইকেটে। শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশ করেছিল ৩ উইকেটে কেবল ১০৬ রান। জবাবে প্রোটিয়ারা লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ১৬ বল হাতে রেখে।
বাংলাদেশের হয়ে সোবহানা মোসতারি ৪৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেন ৩৮ রান। অধিনায়ক নিগার সুলতানা খেলেন ৩৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৩২ রানের ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে এমন ধীর গতির ইনিংসে বড় স্কোর গড়া কঠিন।
সেটা পারেওনি বাংলাদেশ। পারেনি অল্প রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করতেও। ওপেনার তাজমিন ব্রিটস ৪১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪২ করে সহজ জয়ের ভিত গড়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এছাড়া আনিকা বোসেচ করেছিলেন ২৫।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন। রিতু মনি ২২ রানে নেন ১ উইকেট। এই জয়ে গ্রুপ ‘বি’তে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ ম্যাচে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৪ আর ৩ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ শেষ করল ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে।
দিনের অপর ম্যাচে শারজায় শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ ‘এ’তে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে ফিরে এসেছে নিউজিল্যান্ড। শুরুতে ব্যাট করে লঙ্কান মেয়েরা ৫ উইকেটে করেছিল ১১৫ রান। সর্বোচ্চ ৩৫ করেন চামিরা আতাপাত্তু। অ্যামেলিয়া কের নেন ৪ ওভারে ১৫ রানে ২ উইকেট।
জবাবে ১৭.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। ৪৪ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জর্জিয়া প্লিমারের। ৩ ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৬, ভারতের ৪, নিউজিল্যান্ডের ৪, পাকিস্তানের ২ আর ৪ ম্যাচে লঙ্কানদের ০।
অস্ট্রেলিয়ার নেট রান রেট ২.৭৮৬, ভারতের ০.৫৭৬, নিউজিল্যান্ডের ০.২৮২ আর পাকিস্তানের -০.৪৮৮। শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হারলেও অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল একপ্রকার নিশ্চিত। তাই এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালের অপর দল হওয়ার লড়াইটা এখন ভারত ও নিউজিল্যান্ডের।