নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জমি কেনায় প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের পাঁচ সদস্যসহ নয় জন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪ এর বিচারক রবিউল আলম তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
আসামিরা হলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী, চেয়ারম্যান ওমর ফারুক এবং দুই পরিচালক আনোয়ার বেগম ও সৈয়দ এ কে কামরুজ্জামান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “আজকে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-১ এ চার্জ গঠন শুনানির জন্য ছিল। মামলাটি বদলি হয়ে বিশেষ জজ আদালত -৪ এ পাঠানো হয়। নতুন কোর্টে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুন করেন। আমরা চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করি। আদালত সেই সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১২ মে চার্জ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।”
২০২২ সালের ১২ মে ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
মামলায় বলা হয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতাকে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। পরে নিজেরা এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২০ অক্টোবর ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, চার সদস্য- এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালীকে আসামি করা হয়।
তদন্তে আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক এবং পরিচালক আনোয়ার বেগম ও সৈয়দ এ কে কামরুজ্জামানের নাম আসে।