Beta
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫

খালেদা জিয়া বাসায় ফিরেছেন, লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়নি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
[publishpress_authors_box]

লন্ডনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা উন্নতির দিকে; তিনি বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে প্রেক্ষাপটে কারামুক্তির পাঁচ মাস পর গত ৭ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। তাকে ভর্তি করা হয় বেসরকারি হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সামনে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন বলে বাসস জানিয়েছে।

লন্ডনের বসবাসরত বাংলাদেশি সাংবাদিক শাহেদ শফিককে উদ্ধৃত করে বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, “ডা. জাহিদ বলেছেন, বেগম জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার নতুন করে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।

“শুক্রবার সেসব রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্টে যদি সব ঠিক থাকে, তাহলে সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল থেকে তার ছুটি হতে পারে। এরপর তিনি বাসায় ফিরবেন।”

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেড় যুগ ধরে সপরিবারে লন্ডনে রয়েছেন। ৭ আগস্ট লন্ডন পৌঁছনোর পর তিনিই গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান মাকে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ বলেন, বাসায় ফিরলেও চিকিৎসদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গত ১৭ দিনে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে। দুই একটি রিপোর্ট এখনও আসেনি। কয়েকটি পরীক্ষা লন্ডন ক্লিনিকে করা যায় না, সেগুলো বাইরের হাসপাতাল থেকে করাতে হয়।

“তবে খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে আগের চেয়ে এখন অনেকটাই বেটার আছেন।”

দ্য লন্ডন ক্লিনিক।
দ্য লন্ডন ক্লিনিক, এখানেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

দেশে বন্দি থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছিল। দেশে অস্ত্রোপচারও হয়। তখন বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।

সে বিষয়ে ডা. জাহিদ বলেন, “ম্যাডামের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। বয়সটা এখানে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। তাছাড়া জেলে রেখে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।

“লন্ডন ক্লিনিকের ডাক্তাররা বলেছেন, আরও অনেক আগে ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে আসা গেলে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা যেত, দ্রুত সুস্থ করা যেতে। এখন ওষুধের মাধ্যমে উনার যে চিকিৎসা চলছে।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এছাড়াও আর্থ্রারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। বছর খানেক আগে তার হৃদপিণ্ডে স্টেন্ট বসানো হয়, বসানো হয় পেস মেকারও।

চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরের বছর দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যেতে হয় তাকে।

কোিভড মহামারি দেখা দিলে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিয়ে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিলেও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।

ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। তারপরই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত