রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরুৎসাহিত করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে সরানোর সিদ্ধান্ত হবে হঠকারীমূলক।
রবিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগরে চন্দ্রিমা উদ্যানে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি অপসারণ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি কী ভাবছে, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, “বিএনপির যে সর্বোচ্চ ফোরাম রয়েছে, সেই ফোরামে এনিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব।”
তিনি বলেন, “আমরা আগেও বলেছি, গণঅভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য বাংলাদেশের বিপ্লবকে যদি সংহত করতে হয়, তাহলে কোনোরকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তার জন্য বেশি প্রয়োজন, অতি দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন।”
দেরিতে নির্বাচন হলে কোনও ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা বারবার বলছি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার। একটি সাংবিধানিক রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।”
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যুবদলের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ছিল বলেও দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, “এখানে আজকে আমরা শপথ নিয়েছি, দেশের স্বাধীনতা আমরা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করব। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে গত ৫ আগস্ট দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এই সংগ্রামে যুবদলের ভূমিকা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।”
গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভূমিকা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সফল পরিণতিতে তারেক রহমানের ভূমিকা অক্ষুণ্ণ থাকবে। বাংলাদেশের যারা ভালো চায় না, তাদের প্রতিহত করতে যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুবদল আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।