Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

যেই হোক না কেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে : প্রধানমন্ত্রী

শনিবার বিকালে  সংসদে বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাসস
শনিবার বিকালে সংসদে বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাসস
Picture of বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে একে একে দুর্নীতিবাজদের গোমর ফাঁস হচ্ছে, প্রকাশ্যে আসছে তাদের অবৈধ সম্পদের তথ্য। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।   

তিনি বলেছেন, “আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। সে যেই হোক না কেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।”

শনিবার বিকালে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

আজিজ-বেনজীর আওয়ামী লীগের কেউ না : কাদের

সরকার প্রধান বলেন, “যে যতই চেষ্টা করুক না কেন, দেশ আর পিছিয়ে যাবে না। সামনের দিকে এগিয়েই যাবে। আর সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই বাজেট দেওয়া হয়েছে।”

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। তাতে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ধরা হয়। আর মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

মতিউরের পরিবারের সব ব্যাংক হিসাব ‘ফ্রিজ’

এই বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে আমি মোটেই উচ্চাভিলাষী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনো পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে, এখানে আমরা যাব। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট। আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।

“চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই (বড় বাজেট বাস্তবায়ন) সম্ভব হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাটা কী- দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সে জন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে, সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি ও উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।”

এবার এনবিআরের প্রথম সচিবের সম্পদ জব্দের নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেটের মধ্যে আগামী দিনে আমরা যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল, সেটি বাস্তবায়নে সক্ষম হব। সে ধারাবাহিকতা আমাদের আছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল করি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমাদের কিন্তু নিজেদের ঘোষণাপত্র আছে, আমরা কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি।

“এই ইশতেহার আমরা কখনো ভুলে যাই না। জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, তা পালন করি। এই বাজেট প্রণয়নকালীন আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটির অগ্রাধিকার এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে দিকনির্দেশনা- সেটাও বাজেটে উঠে এসেছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস সর্ববৃহৎ বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বাজেটের ওপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। তারা বাজেটের ওপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন।”

বাজেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যে যাই করুন, তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, “কেউ কেউ বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলেছেন, কেউ বলেছেন ঘাটতি বাজেট। কিছুক্ষণ আগে বিরোধীদলীয় নেতা বললেন- এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার কমাতে হবে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কমাতে হবে… ইত্যাদি। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে কিনা। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই তো আমাদের কাজ। চ্যালেঞ্জ নিয়েই তো আমরা চলতে চাই, চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত