Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫

সঞ্চয়পত্র কিনতে ছাড় পেল জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবার

এনবিআর
ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবন। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র ছাড়াই সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সহায়তার অর্থে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে।

রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৬৪ এর উপ-ধারা (৪) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের ৮২৬ জন সদস্যকে সরকারি সহায়তা বাবদ দেওয়া অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন হতে এতদ্বারা অব্যাহতি দেওয়া হলো।”

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ এবং আহত ব্যক্তিদের এক লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গত ২ নভেম্বর থেকে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ ব্যানারে এই সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

এখন পর্যন্ত নিহত ৬৪৮ জনের পরিবার এবং আহত এক হাজার ৫৮০ জনকে মিলিয়ে মোট দুই হাজার ২২৮ জনকে এই অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সহায়তার পরিমাণ মোট ৪৭ কোটি ৯৮ লাখ ২১ হাজার ৫২৯ টাকা।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দলীয় ব্যানারেও জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের খবর পাওয়া যায়।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের অনেকের পরিবারের সদস্য এতদিন আয়করের আওতায় না থাকায় তাদের পক্ষে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা সম্ভব নয়। এ জন্য শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

২০২২ সাল থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বা পোস্টাল সেভিংস কিনতে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করে সরকার।

জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ দাখিলে এনবিআর ছাড় দেওয়ায় পরিবারগুলো সহজ শর্তে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে।

এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর জুলাই আন্দোলনের সময় আহত ব্যক্তিদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য বিদেশি মুদ্রা নিয়ে যাওয়ার সীমা শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়া কোনো ব্যক্তির ভ্রমণের জন্য ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার ছাড় করতে পারে। তবে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আহতদের জন্য এই সীমা থাকবে না। চিকিৎসার জন্য প্রাক্কলন অনুযায়ী যেকোনো পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ছাড় করতে পারবে ব্যাংক। ব্যাংক চ্যানেলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমেও এই অর্থ ছাড় করা যাবে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর আন্দোলনে হতাহতদের সহায়তার লক্ষ্যে গঠিত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেলের পক্ষ থেকে গত ২২ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের জন্য সরকারি হাসপাতালে সম্ভব না হলে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে। দেশে চিকিৎসা সম্ভব না হলে পাঠানো হবে বিদেশে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের খরচ সরকার বহন করবে। এর বাইরে তাদের নগদ অর্থসহায়তাও দেওয়া হবে। আন্দোলনে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য হবে নীতিমালা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত