Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

খৎনা : গাফিলতির শাস্তি সেন্টমার্টিনে বদলি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
[publishpress_authors_box]

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শিশুর খৎনায় অতিরিক্ত কেটে ফেলা ও রক্তক্ষরণের ঘটনায় একজন চিকিৎসা সহকারীকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে সেন্টমার্টিনে বদলি করা হয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে একটি কমিটি।

ঢাকায় খৎনা করাতে গিয়ে দু্টি শিশুর মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে কোম্পানীগঞ্জের ঘটনা আলোচনায় আসার প্রেক্ষাপটে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বৃহস্পতিবার তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান।

চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন বাদল বুধবার ৬ বছর বয়সী ছেলের খৎনা করাতে গিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।  

তার অভিযোগ, চিকিৎসক আসছেন জানিয়ে কেন্দ্রের নৈশপ্রহরী জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় শিশুটিকে। এরপর তারাই খৎনা করান।

তবে ভেতরে চিৎকার শুনে তিনি গিয়ে দেখেন, তার ছেলের জননাঙ্গের সামনের খানিকটা অংশও কেটে ফেলা হয়েছে, সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

বাদল বলেন, ওই সময় যারা খৎনা করাচ্ছিলেন, সেই তিনজন পালিয়ে যান।

সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, ঘটনাটি জানার পর স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন এবং তিনি নিজে বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে দেখতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।

তিনি বলেন, “চিকিৎসাধীন শিশুটি ও তার বাবাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওইদিন দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে’কে তাৎক্ষণিক সেন্টমার্টিন দ্বীপ স্বাস্থকেন্দ্রে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।”

চিকিৎসা সহকারী বিজয় কুমার দে’র পাশাপাশি শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিকের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।

তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. যোবায়েরকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শাহাদাত হোসেন। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সিভিল সার্জন বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনায় শিক্ষানবিশ উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিকের সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে’র দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”

বুধবার যারা যারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের সবাইকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আর যার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া যায়, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম সকালে বলেছিলেন, শিশুটি এখন আশঙ্কামুক্ত। তার চিকিৎসার তদারকিতে জেলা সদর থেকে চিকিৎসক এসেছেন। 

পরে দুপুরে শিশুটিকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সাইফ উদ্দিন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত