নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আবুল খায়ের উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। তিনি চরকাজী মোখলেছেল গ্রামের প্রয়াত গোলাপের রহমানের ছেলে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরেই পাঁচ বছর আগে ভোটের রাতে ধর্ষণের মামলায় ১০ জনের ফাঁসির রায়ের দিনেই ধর্ষণের আরেকটি ঘটনার অভিযোগ এলো।
উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে সোমবার মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে এক নারী এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, ওই নারী বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলাটি করেন।
মামলার প্রধান আসামি চর ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে দুপুরেই মাইজদী শহরের এক বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার অপর আসামি চরকাজী মোখলেসের প্রয়াত বশির আহমেদের ছেলে মো. হারুন (৪০)। তাকেসহ অপর আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।
এসপি আসাদুজ্জামান আরও জানান, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি চরকাজী মোখলেছ গ্রামের উত্তর তালতলা এলাকায় একটি টিনের তৈরি বসতঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে। এ সময় গৃহকর্তা বাড়িতে ছিলেন না। ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা খুলে দিলে অজ্ঞাতপরিচয় দুইজন ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় গৃহবধূ (৩০) টের পেয়ে ‘চোর’ বলে চিৎকার দিলে তারা তার হাত, মুখ ও পা বেঁধে ফেলে।
পাশের কক্ষে থাকা তার ১২ বছর বয়সী মেয়েকেও বেঁধে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এরপর তারা পালাক্রমে ওই নারী ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন। ওই ঘর থেকে এক জোড়া কানের দুল, দুটি নাকফুল ও নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকাও দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়।
ওই নারীর ভাই জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ এ ফোন দিলে চরজব্বর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে নানা আলামত জব্দ করে। পরে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে থানা হেফাজাতে নেওয়া হয়।
এসপি জানান, মঙ্গলবার সকালে মা-মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।