Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

কাদেরের ভাইসহ ২ প্রার্থীর ভোট বর্জনের ঘোষণা

বুধবার কোম্পানীগঞ্জে ভোট বাতিল করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন।
বুধবার কোম্পানীগঞ্জে ভোট বাতিল করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন।
[publishpress_authors_box]

কেন্দ্র দখল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ার এবং পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

একই সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জে নতুন করে ভোটগ্রহণের দাবি জানান এই দুই প্রার্থী।

টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন এবং দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমানের অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার ছেলে ও ভাগ্নেরা কেন্দ্র দখলে নিয়ে ব্যালটে সিল মেরেছেন।

মেয়র আবদুল কাদের মির্জাও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ব্যবসায়ী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলকে সমর্থন দিয়ে ভাইসহ অন্যদের বিরোধিতা করে আসছেন আবদুল কাদের মির্জা।

বুধবার ভোটের দিন সকাল থেকে কী হয়েছে জানতে চাওয়া হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, “মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে আমার সব এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে আনারসে সিল মারা হয়েছে।

“আমার ২০ কর্মীকে আহত করেছে মেয়রের হাতুড়ি বাহিনী। পুলিশ তাদের অনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আমি এ ভোট বর্জন করছি।”

একই অভিযোগ করেন আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল। তিনি বলেন, “কোনও কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি কাদের মির্জার লোকজন। তারা ভোটারদের বাধা দিয়ে কেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না।

“সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় এমন ভোট কারও কাম্য নয়। আমরা প্রহসনের এ নির্বাচন বাতিল চাই। এখানে প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়। পুলিশ আনারসের পক্ষে সিল মারতে সহযোগিতা করেছে। বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি।”

চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও মিজানুর রহমান বাদলের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেছেন কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিক।

তিনি বলেন, “নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ অশান্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বরং দোয়াত-কলমের লোকজন হামলা চালিয়ে আনারসের কর্মী চর-এলাহী ইউনিয়নের রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ভাই আবদুল আজিজ খোকনসহ সাতজনকে কুপিয়ে জখম করেছে।”

ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থী ও তাদের বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে অবশ্য ভোটের পরিবেশকে ‘সুষ্ঠু’ বলে দাবি করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, “ভোট নিয়ে কারও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, “কেউ অভিযোগ দিতেই পারেন। নির্বাচনের পরিবেশ যা থাকার তাই আছে। কোনও কেন্দ্রে অনিয়ম হলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত