Beta
বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে বিএনপির রোষে ওসি নেজাম; ছিঁড়ল শার্ট, খেলেন মার

নেজাম উদ্দীন
নেজাম উদ্দীন
[publishpress_authors_box]

বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের রোষের মুখে পড়েছেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তার পরনের পোশাক ছিঁড়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে মারধরও করা হয়।

সোমবার দুপুর আড়াইটায় পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান গিয়ে নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করে থানার ভেতর নিয়ে যান। তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা ওসি নেজামের নির্যাতনের নানা অভিযোগ তুলে থানার বাইরে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামের সবগুলো থানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত থানাগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে তাদের সঙ্গে পুলিশের বেশ সখ্যতাও গড়ে ওঠে। থানার বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাদের দাওয়াত পেতে দেখা গেছে।

এরই মধ্যে ওসি নেজামের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা ঘটনা ঘটল।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ থানা কোতোয়ালিতে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাকলিয়া ও সদরঘাট থানায়ও দায়িত্ব পালন করেন।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে নেজাম উদ্দিন কোতোয়ালি থানার দায়িত্ব পান। সেসময় বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক ও বর্তমান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে চকবাজারে সমাবেশ করতে না দিয়ে আলোচনায় আসেন ওসি নেজাম। সেই বছর ২৯ মার্চ ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তারও করেন তিনি।

বর্তমানে কুমিল্লার সিআইডিতে কর্মরত নেজাম উদ্দীন। ছুটি নিয়ে পারিবারিক কাজে তিনি চট্টগ্রামে এসেছিলেন। ব্যক্তিগত কাজেই গিয়েছিলেন পাঁচলাইশের পাসপোর্ট অফিসে।

সেখানে প্রবেশের সময়ই স্বেচ্ছাসেবক দলের চকবাজারের এক নেতা তাকে থামান এবং জেরা করেন। এসময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর হোসেনসহ অন্যদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়, তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তার পরনের শার্ট ছিঁড়ে যায়।

খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং থানায় নিয়ে যায়।

চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন আওয়ামী লীগের আমলে নগরের কোতোয়ালি ও বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। ওই সময় তিনি বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নানাভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন ও হয়রানি করেছেন। বিনা কারণে গ্রেপ্তার করেছেন, চাঁদাবাজি করেছেন।

“অনুমতি থাকা সত্ত্বেও বিএনপিকে কর্মসূচি পালন করতে দেননি নেজাম উদ্দিন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। এখন নেতাকর্মীদের দাবি তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।”

এসময় বিএনপি-জামাতের বেশ কিছু নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা নেজাম উদ্দিনকে চাকরি থেকে বহিষ্কার এবং গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। এই দাবিতে তারা বেশ কিছুক্সণ পাঁচলাইশ থানার সামনে অবস্থান করেন এবং বিক্ষোভ দেখান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত