Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫

শীতে সর্দি-কাশি সারাবে একটি আমলকি

amla-311224
[publishpress_authors_box]

সুস্থ থাকতে হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। নয়তো সামান্য শীত-গরমের গড়মিল হলেই সর্দিকাশি বাঁধিয়ে কাবু হয়ে পড়েন অনেকেই।

শরীরের সুস্থতায় পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় ভিটামিন সি খুবই জরুরি। এই ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও সর্দিকাশি থেকেও দূরে রাখে।

আমলকি হলো ভিটামিন সি পাওয়ার খুব ভালো উৎস। বলা হয়, আমলকি হলো ভিটামিন সি -এর রাজা। ঋতু পরিবর্তন অনুসারে খাদ্যাভাস সমৃদ্ধ করলে শরীর ওই মৌসুমের রোগবালাই প্রতিরোধ ও ধকল সামলানোর মতো সামর্থ রাখতে পারে।

শীতে যেমন ঠান্ডাজনিত অসুখ, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ফুসফুসের নানা সংক্রমণের মাত্রা বাড়ে, তেমনি এই শীতের বাজারে হরেদরে মেলে ভিটামিন সি ভরপুর আমলকি। শতাব্দীপ্রাচীন এই আয়ুর্বেদিক টোটকা না কি রোজ এক টুকরো খেলেও বয়সের কাঁটা উল্টো দিকে ঘুরে যাবে।

অনেকেরেই সর্দিকাশির ধাত রয়েছে; চট করে ঠান্ডা লেগে যায়। নিয়মিত আমলকি খেলে সহজে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেবে না।

শীতে কারও কারও হজমের সমস্যা হয়। আমলকি বিপাক কাজে সহায়তা করে বলে এই সময় সহজে অসুস্থ হওয়া থেকে সুরক্ষা মিলবে।

ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় আমলকি শরীরের দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বার করে দেয়। তাতে করে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। আর ডিটক্সিফিকেশন হয় বলে, আমলকি ওজন কমাতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

আমলকি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে। আমলতির ভিটামিন এ এবং ই দিনে দিনে ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে।

আমলকি অর্থ্যাৎ আমলা তেল চুলের জন্য উপকারি তা সবাই জানেন। পাশাপাশি আমলকির হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুল হবে ঝরঝরে ও ঝলমলে।

আমলকিতে ফাইবার আছে। শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে ডায়বেটিস রোগীরাও আমলকি খেতে পারবেন। কোলেস্ট্ররেলের মাত্রা এবং হৃদরোগের সমস্যা কমাতে আমলকি সহায়ক হয়ে ওঠে। 

কীভাবে ও কখন খাবেন আমলকি?

উপকার পেতে দিনের শুরুতেই একটি আমলকি খেতে হবে। সকালে খালি পেটে আমলকির রস পান করা যেতে পারে। কাঁচা আস্ত আমলকি খেতে পারেন, কিংবা কাঁচা আমলকি সেদ্ধ করে খাওয়া যায়। আবার আমলকির সরবত বানিয়েও পান করা যায়। তবে আস্ত আমলকি চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করাই ভালো।

শীতের মৌসুমে আমলকির মোরব্বা ও আচার বানিয়ে বয়ামে ভরে রাখুন। এই মোরব্বা ও আচার রুচি বাড়াবে এবং সর্দি থেকেও ভালো রাখবে শীতে।

আমলকি খেলে পানি পানের অভ্যাসও নিয়মিত ধরে রাখতে হবে।

কারা আমলকি খাবেন না

কারও রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে আমলকি এড়িয়ে চলতে হবে।

যাদের রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা আছে, তারাও আমলকি খাবেন না। কোনও অস্ত্রোপচার হওয়ার থাকলে আগে থেকে আমলকি খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত