Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫

সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে রাঙ্গামাটিতে একজন নিহত

অভিযানে এসব সামগ্রী উদ্ধারের কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
অভিযানে এসব সামগ্রী উদ্ধারের কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার জঙ্গল থেকে গুলিবিদ্ধ একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিহত ব্যক্তি ইউপিডিএফের সদস্য। যদিও পাহাড়ি সংগঠনটির দাবি, নিহত ব্যক্তি তাদের দলের কেউ নয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নানিয়ারচর উপজেলার পেরাছড়া থেকে লাশটি উদ্ধারের কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হলেও, স্থানীয়রা বলছেন ঘটনাস্থল লংগদু ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কিচিংছড়া গ্রাম।

পুলিশও কিচিংছড়া থেকে লাশ উদ্ধারের কথাই জানিয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

লংগদু থানার ওসি মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা সদরের কিচিং ছড়া নামক এলাকা থেকে একটি গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

বিকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার পেরাছড়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এসময় ইউপিডিএফের (প্রসিত খীসা গ্রুপ) গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়ে সেখানে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে শুরু করে। সেনা সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। এসময় ইউপিডিএফের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় এবং বেশ কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী আহত অবস্থায় গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি অ্যাসল্ট রাইফেল (এম-১৬), দুই রাউন্ড এমজি/স্নাইপার অ্যামোনিশন, ৯০ রাউন্ড রাইফেল অ্যামোনিশন, একটি ওয়াকি-টকি সেট ও ১২টি মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের সন্ধানে সেনা অভিযান চলছে বলেও জানায় সেনাবাহিনী।

তবে নিহত ব্যক্তি ইউপিডিএফের কেউ নন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র অংগ্য মারমা।

তিনি বলেন, “লংগদুতে নিহত ব্যক্তি আমাদের দলের কেউ নয়। পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতকে উসকে দিতে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের সংগঠনের নাম জড়ানো হচ্ছে। এটি একটি নতুন নাটক।”

পাহাড়ে পাহাড়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফের দুটি ভাগ। একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রসিত খীসা, অন্যটির নেতৃত্বে শ্যামল চাকমা। তার নেতৃত্বাধীন সংগঠনটির নাম ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত