পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন (গালিব) এই আদেশ দেন।
দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম তাদের আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি আদালত বেনজীরের স্ত্রী জিশান মির্জা ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন একই আদালত।
গোপালগঞ্জের সন্তান বেনজীর আইজিপি হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালে অবসরে যান। আইজিপির দায়িত্ব পালনের আগে তিনি র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র বেনজীরের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়।
গত বছরের মার্চে সংবাদমাধ্যমে বেনজীরের ‘অবৈধ সম্পদের’ তথ্য প্রকাশ এবং তা অনুসন্ধানে হাইকোর্টে আবেদনের পর তার সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে বেনজীরের সপরিবারে দেশ ছাড়ার খবর আসে গণমাধ্যমে।
রাষ্ট্র ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর জালিয়াতির মাধ্যমে পাসপোর্ট নেওয়ার অভিযোগে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় বেনজীরের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন ও তার স্ত্রীর জীশান মীর্জার বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়া এই দম্পতির বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এবং মেজ মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও আনা হয় দুদকের মামলায়।