খালাস তো আগেই পেয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এবার একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলায় তিনিসহ খালাস পাওয়া ১৯ আসামির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হলো।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রশীদ মোল্লা বলেন, “মামলায় তারেক রহমানসহ খালাস পাওয়া বেশ কয়েকজন আসামি পলাতক ছিলেন। রায়ে তাদের বিরুদ্ধে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দেন আদালত।
“হাইকোর্টের সেই আদেশ বিচারিক আদালতে এলে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তারেক রহমানসহ অন্যদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দেন।”
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান দেড় যুগ ধরে সপরিবারে লন্ডনে রয়েছেন। খালেদা জিয়াও এখন লন্ডনে তার বাসাতেই রয়েছেন।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে এই মামলার সব আসামিকে খালাস দেন।
আজ তারেক রহমানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার আদেশ দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৫২ আসামির মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৪৭ আসামির মধ্যে ১১ জন কারাভোগ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাকি ১৭ আসামির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেয়। রায়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
