পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথম নারী হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন রেহানা ম্যাগসি।
তিনি প্রদেশটির ঝাল ম্যাগসি জেলার পিবি-১১ আসনের বেলুচ জাতিগোষ্ঠীর এক কৃষকের মেয়ে। আসন্ন ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে স্থানীয় রাজনৈতিক দল জামোতে কওমি আন্দোলনের ব্যানারে ভোট করছেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারে নিজের এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পানির মতো মৌলিক সুবিধা না থাকার বিষয়টি তুলে ধরছেন রেহানা।
তিনি বলেন, “প্রদেশের সাবেক গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রী নবাব জুলফিকার আলী ম্যাগসির রাজনৈতিক প্রভাব থাকা সত্ত্বেও সেখানে কোনও উন্নতি হয়নি।”
বেলুচিস্তানের অন্য অনেক এলাকার মতো ঝাল মাগসিও অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, সীমিত স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবে ভুগছে।
রেহানার এই সাহসী পদক্ষেপ কিন্তু ঝুঁকিমুক্ত নয়। কারণ তিনি নিজের গোত্রপ্রধানদের দীর্ঘদিনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে চান। তার প্রাথমিক লক্ষ্য হল- সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, তাদের ক্ষমতায়ন করা এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানানো।
ভয় না পেয়ে মনোবল নিয়ে রেহানা তার আসনের ঘরে ঘরে প্রচার চালাচ্ছেন। মোটরসাইকেলে চড়ে ভাই ও স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ঘুরছেন গ্রামে গ্রামে।
বেলুচিস্তান পরিষদের একটি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ পুরুষ প্রার্থী। তাদের মধ্যে রেহানা একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে টিকে আছেন।
অন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হলো, সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রথম নারী ডা. সাবেরা প্রকাশ প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেপিকে বুনের জেলায়।
এই অগ্রগতিগুলো পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। সেখানে নারীরা প্রতিনিধিত্ব ও অগ্রগতির জন্য ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করছেন।
সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পাশাপাশি নারীরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।
তথ্যসূত্র : দুনিয়া নিউজ