আগের দিন সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন শান মাসুদ ও আব্দুল্লাহ শফিক। দ্বিতীয় দিনে শতক পূরণ করেন সালমান আগা। তিন সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে পাকিস্তান। মুলতান টেস্টে স্বাগতিকদের বিশাল সংগ্রহের জবাব দিতে নামার আগেই বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। চোটে পড়ে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি ওপেনার বেন ডাকেট।
তার জায়গা ওপেনিংয়ে নামা ওলি পোপ শুরুতেই ফিরে গেলে ধাক্কা আরও জোরাল হয়। তবে জ্যাক ক্রলি ও জো রুটের ব্যাটে নিরাপদে দিনের বাকিটা পার করেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ২০ ওভারে ১ উইকেটে ৯৬। এর আগে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে জমা করে ৫৫৬ রান।
পাকিস্তানের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন আবরার আহমেদ। দুই ওভারে দুইবার ‘জীবন’ পাওয়া এই ব্যাটারের ক্যাচ নিতে গিয়েই বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে আঘাত পান ডাকেট। আঘাত গুরুতর হওয়ায় ক্রলির সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে পারেননি নিয়মিত ওপেনার। তার জায়গায় বাধ্য হয়ে পজিশন পাল্টে ওপেনিংয়ে নামতে হয় পোপকে।
ওয়ান ডাউন থেকে ওপেনিংয়ে বাধ্যতামূলক ‘প্রমোশন’ পেয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন বেন স্টোকসের অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব সামলানো পোপ। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলে শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। নাসিম শাহর বলে আমের জামালের ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
ডাকেটের চোটে ব্যাটিং অর্ডার পাল্টে গেছে শুরু থেকে। ফলে পছন্দের চার নম্বর ছেড়ে তিন নম্বরে নামতে হয় রুটকে। এক হিসাবে ‘ওপেনার’ হিসেবেই তিনি নেমেছেন। কারণ দ্বিতীয় ওভারেই নামতে হয়েছে ডানহাতি ব্যাটারকে। ক্রলিকে সঙ্গে করে দিনের বাকিটা পার করে দিয়েছেন রুট।
শুরুতে উইকেট হারালেও ক্রলি খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে। ৫৫ বলে পূরণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি। দিনশেষে তিনি অপরাজিত ৬৪ রানে। ৬৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১১ বাউন্ডারি। তার সঙ্গে রুট দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন ৩২ রান নিয়ে।
এর আগে ৪ উইকেটে ৩২৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল পাকিস্তান। নাইটওয়াচম্যান নাসিম শাহ ও সৌদ শাকিল গড়েন ৬৪ রানের জুটি। নাসিম করে যান গুরুত্বপূর্ণ ৩৩ রান। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি শাকিল। ৮২ রানে আউট হয়েছেন তিনি। ১৭৭ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৮ বাউন্ডারি।
হতাশ করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই উইকেটকিপার ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেননি। তবে সালমান আগা খেলেছেন চমৎকার ইনিংস। আট নম্বরে নেমে পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। খেলেছেন হার না মানা ১০৪ রানের ইনিংস। ১১৯ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ১০ চার ও ৩ ছক্কায়।
ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার জ্যাক লিচ। এই স্পিনার ১৬০ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন গাস আটকিনসন ও ব্রেডন কার্সি।