ভালো নেই একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।
পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে শিল্পীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ইমপালস হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পাপিয়া সারোয়ারের বড় বোনের মেয়ে অভিনয়শিল্পী শম্পা রেজা বলেন, “তিনি কয়েক বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। চার দিন হল তালে ইমপালস হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর আগে বসুন্ধরা আবাসিকের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।”
শিল্পীর দুই মেয়ে জারা ও জিশান প্রবাসী। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দুইজনই দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র অনুরাগী পাপিয়া সারোয়ার ক্লাস সিক্সে থাকতে ছায়ানটে ভর্তি হন। নবম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। তারপরে ধানমন্ডিতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি গান চর্চা করেন।
বরিশালের মেয়ে পাপিয়া সারোয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান।
২০১৩ সালে পাপিয়া সারোয়ারকে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করে । ২০১৫ সালের বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন।
তার গাওয়া অনেক গানের মধ্যে ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিওন’ প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। সারাজীবন রবীন্দ্র সংগীত গাইলেও এই গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির ও সুরকার মনসুর আলীর লেখা এই গানটি যেন তার পরিচয়ের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে পাপিয়া সারোয়ার গানটির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, “বিয়ের পাঁচ-ছয় মাস পরে গানটি গাই। টেলিভিশনে মালঞ্চ নামের দশটি গানের এক অনুষ্ঠানের জন্য এই গানটি রেকর্ডিং করা হয় তখন।”