২০০৯-২০১০ সালে গোলাম রহমানের দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) চাপে পড়েছিল। এখনকার দুদক যেমন পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। তারা অবশ্য এরই মধ্যে, অন্তর্বর্তী সরকারের বসার মাস না পুরতেই মামলা তোলাও শুরু করে দিয়েছে। এই তোলা মানে হলো মামলা প্রত্যাহার। গোলাম রহমান সাহেবরা কিন্তু একটি মামলাও তোলেননি। তাই বলে চাপ কিছু কম ছিল না তাঁদের ওপরে। বরং এখনকার চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশিই ছিল। এখনো তো রাজনৈতিক সরকার বসেইনি গদিতে। সবে মাত্র ছাত্র-জনতার মহা-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকার ভেগেছে তার দলবল নিয়ে। অভ্যুত্থান পরবর্তী অরাজনৈতিক নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে এই ২০২৪ এর ৮ আগস্ট। মাসটা শেষ না হতেই দুদক তুলে ফেলেছে মামলা, আগামীতে ক্ষমতায় আসার মহড়ায় মত্ত বড়ো একটি দলের বড়ো এক নেতার। তুলেছে আরো অনেকের, তুলবে মনে হচ্ছে আরো অনেকের। রাজনৈতিক পাশার দান যেই উল্টেছে অমনিই উল্টে গেছে এখনকার দুদকের চাল। নিজেরাই পড়েছে কি মানসিক চাপে!
আর গোলাম রহমানের কালটা ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শুরুর কাল। ২০০৭ সালের ১/১১-এর সেনাসমর্থিত সরকারের আমলে আগে পিছে করে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেত্রীদ্বয় তথা সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য সব নেতাদের বিরুদ্ধে দুদক থেকে দুর্নীতির মামলা হয় সমানে। (বাদ যাননি জামাত, জাতীয় পার্টির নেতারাও অনেকে।) দুর্নীতির মামলা মাথায় নিয়েই দু-দলই নিজ নিজ জোট নিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেয়। ফলাফলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট তথাকথিত ভূমিধস বিজয়ে ক্ষমতায় আসীন হয়। মেয়াদের আগেই ২০০৯ সালের ২ এপ্রিল বিদায় হন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক জেনারেল, তাঁর জায়গায় ২৪ জুন আসেন গোলাম রহমান।
ধীরে ধীরে মহাজোট সরকার ক্ষমতার দাঁত বের করতে থাকে। সেই দাঁতের কাছে নিজেকে নখদন্তহীন ভাবলেও (দুদককে তখন নখদন্তহীন বাঘ বলেছিলেন গোলাম রহমান) মাথা নত করেননি সেই তিনি রাজনৈতিক চাপের কাছে। হ্যান্ডল করেছিলেন দক্ষতার সাথে। তখনকার আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যহারের কমিটি হয়েছিল। সেই কমিটি পাইকারি হারে খুন-জখমের, ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের মামলাও রাজনৈতিক মামলা বলে তোলার সুপারিশ করতে থাকে সেই ভুলো ডাক্তারের মতো, যিনি পোকায় খাওয়া নষ্ট দাঁতের বদলে শক্তপোক্ত ভালো দাঁত তুলে ফেলেছিলেন ভুল করে। সেই কমিটি থেকে একের পর এক আসতে থাকে আওয়ামী লীগের সব নেতাদের দুর্নীতির মামলা প্রত্যহারের সুপারিশ। আমিও তখন সবে এসেছি (২০১০ সালের শুরুতে) দুদকের লিগ্যাল উইংয়ে পরিচালক (প্রসিকিউশন) হিসেবে। গোলাম রহমানের নেতৃত্বাধীন দুদক তখন শক্ত অবস্থান নেয় মামলা প্রত্যাহার না করতে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন আদালত থেকে খালাস হয়ে আসতে। হয়েছিলও তাই। একটি মামলাও প্রত্যহার করেনি তখনকার দুদক। এমনকি, খোদ গদিনসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলাও প্রত্যহার হয়নি। সবগুলোই নিষ্পত্তি হয়েছিল আদালতে। দুদকের চেয়ারম্যান-কমিশনাররাও নিজ নিজ মেয়াদ পূর্ণ করে বিদায় নিয়েছিলেন।
মামলা তোলাটা দাঁত তোলা নয়, যে নিজের দাঁত ইচ্ছে হলে রাখলাম, না হলে তুলে ফেললাম। দাঁত তোলারও যৌক্তিক কারণ থাকতে হয়। দাঁতটা কি নড়ে গেছে! না, পোকায় খেয়েছে! দাঁতটা টিকবে না বলে দেখতে পেলে তবেই ডাক্তারে দাঁত তুলে, না হলে রেখে দেয় রুট ক্যানেল করে, ফিলিং করে। তেমনি মামলা তোলার ক্ষেত্রেও বিবেচনার বিষয় আছে। মূল বিবেচ্য হলো মামলাটা টিকবে কিনা, অর্থাৎ, মামলার মেরিট আছে কিনা! যার বিরুদ্ধে মামলাটা দেওয়া হয়েছে সে অপরাধটা ঘটিয়েছে কিনা! সে যা করেছে তা আদৌ অপরাধ কিনা! যদি দেখা যায় মামলার মেরিট নেই, আসামি অপরাধটা করেইনি, যা করেছে তা অপরাধই নয়, তাহলে সেই না টেকা মামলাটা বিচারের প্রহসন শেষ হবার আগেই তুলে ফেলার ক্ষমতা মামলাকারীকে দিয়েছে আইন। নালিশী মামলায় দিয়েছে নালিশকারীকে। ফৌজদারি মামলায় দিয়েছে পিপি তথা পাবলিক প্রসিকিউটরকে (সিআরপিসির ৪৯৪ ধারা)। অবশ্য, রাষ্ট্রের পক্ষে সরকারের নির্দেশনা না পেলে পিপি সাহেবরা নিজে থেকে সে-ক্ষমতা খাটান না এদেশীয় রেওয়াজ অনুসারে। দুদকের মামলা তোলার ক্ষমতাটা দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্টভাবে দুদককে [১৯৫৮ সালের ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট-এর ১০(৪) ধারায়]। দাঁত তুলতে যেমন ডাক্তার লাগে, ডাক্তারের সন্তুষ্টি লাগে দাঁতটা তোলা সঠিক কাজ হবে কিনা সেসম্পর্কে, তেমনি মামলা তোলার ক্ষেত্রেও আদালত লাগে, আদালতের সন্তুষ্টিও লাগে। কে জানে কী দেখে আদালত সন্তুষ্ট হয়েছেন দুদকের এসব মামলা তোলার ক্ষেত্রে! সন্তুষ্টির কারণ লেখার কথা আদেশে। এ সংক্রান্তে ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত আছে সুপ্রিম কোর্টের।
রাষ্ট্র বা সরকার না চাইলেও ফৌজদারী মামলা করতে পারেন ভুক্তভোগী। কিন্তু, দুদক না চাইলে দুর্নীতির মামলা হতেই পারে না। চার্জশিটের আগে দুদকের অনুমোদনের একটা ব্যাপার আছে আইনে। এই অনুমোদনের কাজটা বিচারের মতো কাজ। ইংরেজিতে যাকে বলে কোয়াসি জুডিসিয়াল। এর বাংলাটা করেছে ‘আধা-বিচারিক’, বাঙালি তাই কাজটা করে আধাখেঁচড়া করে! অনুমোদনের কাজটা ঠিকঠাকমতো করলে তো অচল মামলা হতেই পারে না দুদকের। দুর্নীতি না ঘটলে দুর্নীতির মামলা হতে পারে না, দুর্নীতি যে করে নাই তার বিরুদ্ধে তো দুর্নীতির মামলা হতেই পারে না। অনুমোদনের কাজে যে ভুল হয়েছিল তার তো প্রমাণ আসতে হবে অধিকতর তদন্তে। তবেই না দুদকের মামলা তোলার প্রশ্ন আসে। যেমন এসেছিল জাহালমের ক্ষেত্রে।
২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট সম্প্রচারিত হয়। তাতে দেখানো হয় হয় যে, ভুয়া নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ভুয়া ক্লিয়ারিং ভাউচারের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংক থেকে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির দায়ে দুদক এক নিরাপরাধ পাটকল-শ্রমিক হতদরিদ্র জাহালমের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করেছে এবং তার পরিণতিতে সেই জাহালম ২ বছর ধরে হাজত খাটছে। রিপোর্টটি দুদকের তদন্ত কমিশনারের নজরে এলে পরের দিন তাঁর চেম্বারে ডেকে পাঠান আমাকে। আমি তখন দুদকে ডিজি লিগ্যাল, পরের বছর অবসরে যাবার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ইউটিউব থেকে তিনি রিপোর্টটি চালিয়ে দেখালেন। রিপোর্ট দেখে জাহালমকে নিরাপরাধই মনে হলো। কিন্তু, নিশ্চিত হতে হবে তো! মামলাগুলোর বিচার স্থগিত করিয়ে (সিআরপিসির ৩৪৪ ধারা) অধিকতর তদন্ত (সিআরপিসর ১৭৩ (৩বি) ধারা) করার পরামর্শ দেই। পরামর্শ গৃহীত হলো। অধিকতর তদন্তের জন্য তদন্তকারীদের নিয়োগ দেওয়া হলো। মামলাগুলো চলছিল ৬টি আদালতে, স্থগিতের দরখাস্ত দেওয়া হলো সবক’টিতে। জাহালমের জামিনের দরখাস্তে আপত্তি করতে নিষেধ করা হলো পিপিদের। সাত মাস পর রিপোর্ট এলো অধিকতর তদন্তগুলোর।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে একটি প্রতারক চক্র প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পেয়ে ২০১১ সালের দিকে দুদক অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধানে উঠে আসে: আবু সালেক ও তার প্রতারক চক্র একই লোকের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন নামে জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করে ২০১০ সালের বিভিন্ন সময়ে ঢাকার সোনালী ও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন নামে ১৩টি একাউন্ট খুলে এবং তারপরে সেই সব একাউন্টের ৩৩টি চেক ব্যবহার করে ভুয়া ক্লিয়ারিং ভাউচারের মাধ্যমে সে-বছরেই জালিয়াতি করে মোট ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এর আগেই ঢাকার একটি থানায় সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে সেই ব্যাংকের ঘটনা বাবদ সেই আবু সালেকের বিরুদ্ধে একটি মামলা পুলিশের কাছে তদন্তে আছে বলে অনুসন্ধানে পাওয়া গেলে সেই মামলা পুলিশের কাছ থেকে দুদকে নিয়ে আসা হয়। ২০১২ সালে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে পুলিশের মামলাটিতে এফআরটি দিয়ে কয়েক জন ব্যাংক-কর্মকর্তা ও আবু সালেক গংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে ৩৩টি মামলা দায়ের করে বসেন দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। নতুন করে ৩৩টি মামলা না করে এবং পুলিশের মামলাটি এফআরটি না করে সে-মামলাটিতেই পুরো তদন্ত চালিয়ে এই ৩৩টি চেকের ১৮ কোটি টাকার জালিয়াতির চার্জসিট দেওয়ার সুযোগ ছিল বলে আমার অভিমত। কিন্তু, মামলা দায়েরের আগে বা চার্জসিট দাখিলের আগে লিগ্যালের মতামত নেবার বাধ্যবাধকতা তো নেই দুদকে! আসেনি তাই আমার কাছে।
যাক সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। ৩৩টি মামলার ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা করে বসে আরেক তেলেসমাতি। আবু সালেক ওরফে জাহালম বলে আসামি করে চার্জসিট দাখিল করে। আবু সালেকসহ বিভিন্ন ভুয়া নামে অ্যাকাউন্টগুলো করা হলেও জাহালম নাম ছিল না কোনোটিতেই। জাহালম তাহলে এলো কী করে? “নামে নামে জমে টানে” আছে কথাতে কিন্তু, ‘গ্রামে গ্রামে জমে টানেও’ নয়, থানায় থানায় দুদকে টেনেছিল জাহালমকে। সেই ব্যাংকগুলোর মধ্যে ছিল ব্র্যাক ব্যাংকের একটি শাখা। সেখানে গোলাম মোর্তজা নামের ভুয়া অ্যাকাউন্টধারীর ছবি বলে ব্যবহার করা হয়েছিল সোনালী ব্যাংকের অ্যাকউন্টধারী আবু সালেকের ছবি এবং সেই একই ঠিকানা: গ্রাম শুনিপাড়া, ডাকঘর সলিমাবাদ, থানা নাগরপুর, জেলা টাঙ্গাইল ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় একই মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরটি আবু সালেক নামে রেজিস্ট্রেশন আছে বলে বিটিআরসি থেকে আগেই জানতে পারে দুদকের তদন্তকারীরা। ব্র্যাক ব্যাংকের সেই অ্যাকাউন্টটির সনাক্তকারী ছিল আবার সেই শাখারই এক কর্মকর্তা। দুদকের তদন্তকারীরা তাকে চাপ লাগায় সেই অ্যাকউন্টধারী লোকটির সঠিক হদিস বের করে দিতে।
ব্র্যাক ব্যাংকের সেই কর্মকর্তা এবার ভুয়া অ্যাকাউন্টধারীর সেই ছবি হাতে নিয়ে ছুটলেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার শুনিপাড়া ও সলিমাবাদ গ্রামে। সেখানকার লোকেরা নাকি টাই-পরা এই ছবির চেহারার সাথে মিল খুঁজে পায় ভিন্ন গ্রাম ধুবড়িয়ার বাসিন্দা ও নরসিংদির ঘোড়াশাল জুট মিলে দৈনিক মজুরিতে কাজ করা অস্থায়ী শ্রমিক জাহালমের চেহারার সাথে। ব্যাস, জানিয়ে দিলেন দুদকে। দুদকের তদন্তকারীরা জুট মিল থেকে তলব দিয়ে আনেন জাহালমকে, সেই সঙ্গে আনেন ব্যাংকের লোকদের আর ধুবড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে। তারা সবাই নাকি সেই ছবির লোক বলে সনাক্ত করে জাহালমকে। ব্যাস হয়ে গেল ফিট আসামি আবু সালেক ওরফে জাহালম; যদিও মিল নেই নামে, গ্রামে, বাবার নামে, মায়ের নামে, জন্ম তারিখে; মিল নেই বেশভুষায়, জীবনযাত্রায়। ঘরে বসেই তদন্তের দায় সারেন দুদকের তদন্তকারীরা। ২০১৫ সালে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে আবু সালেক ওরফে জাহালম করে চার্জসিট গেল আদালতে। স্পেশাল জজ আদালতের এক মামলার ওয়ারেন্টে ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার হয় জাহালম। সেই আদালতে থাকা মোট ৫টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো, বাকিগুলোতে পলাতক।
অধিকতর তদন্তে মাঠে নামানো হলো তদন্তকারীদের। তারা গেলেন সরজমিনে। গেলেন নির্বচন কমিশনে। খুঁজে বের করলেন সেই ছবির লোকটির আসল জাতীয় পরিচয়পত্র। পাওয়া গেল আবু সালেক নামেই, বাড়ি তার ঠাকুরগাঁও সদরের সিংগীয়া গ্রামে। তবে সশরীরে পাওয়া গেল না তাকে, গা ঢাকা দিয়ে ভেগেছে সে ততদিনে। প্রমাণ এলো আসল অপরাধী এই আবু সালেকই, জাহালম নিরাপরাধ বেচারি। পলাতক আবু সালেককে আসামি করা হলো সম্পূরক চার্জসিটে। জাহালমের কী গতি করা যায়? আগের চার্জসিটের আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করা যায় না অধিকতর তদন্তের সম্পূরক চার্জসিটে। নিষেধ আছে আইনে, রুলিং আছে সুপ্রিম কোর্টের। মতামতে এলো আমার কাছে। প্রমাণিত নিরাপরাধ জাহালমের বিরুদ্ধের অংশটুকু বাবদ মামলা প্রত্যহারের মতামত দেই। সেইমতো ২০১৯-এর শুরুতে প্রত্যহার হয় আদালতগুলো থেকে। দুদকের সেটা ছিল ইকবাল মাহমুদের কাল।
হুটহাট প্রত্যাহার করা যায় না চার্জশিট করা মামলা। নিশ্চিত হওয়া লাগে আসামি যাকে করা হয়েছে সে নিরাপরাধ কিনা। অধিকতর তদন্তের মতো আরো কিছু প্রক্রিয়া করা লাগে তার জন্য। সেসব কিছুই না করে, কিছুই না দেখে শুধু রাজনৈতিক পট পরিবর্তন দেখে মামলা তোলা মোটে ভালো কাজ না। এমন দুর্বল কাজ কখনই করেনি আগেকার কালের দুদক। মানুষের মনে বিরূপ ধারণা জন্ম নেবে। দুদক কি তবে সত্যিই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না! মিছেমিছিই মামলা করে আর তোলে! এই দুদক দিয়ে কি সত্যিই দুর্নীতি দমনের কিছু হবে!
লেখক: কলামিস্ট, প্রবন্ধকার ও গ্রন্থকার; অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও দুদকের সাবেক মহাপরিচালক।লেখক: [email protected]