‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে চার বছর আগে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা চেয়ে আদালতে রিট করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট। রুলে ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিল উচ্চ আদালত।
এরপর ২০২০ সালের ১০ মার্চ সেই রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দেয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ নিজেই শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
ওই রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে জয় বাংলা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দুই বছর পর ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করার অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ২ মার্চ এটিকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
এরই অংশ হিসেবে গত ১৭ অক্টোবর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ ৮টি জাতীয় দিবস পালন না করার আদেশ জারি করে এই সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশটিতে ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট ছাড়াও ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস পালন না করার কথা বলা হয়।