পুলিশ হলো একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা, যার দায়িত্ব নাগরিকদের এবং সম্পদের সুরক্ষা দেওয়া, নাগরিকদের আইন মানার মধ্যে রাখা, অপরাধ চিহ্নিত করে অপরাধীদের ধরা- কেমব্রিজ ডিকশনারিতে পুলিশকে এভাবেই সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
এই সংজ্ঞায় পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসাবে ধরা চলে। কিন্তু বাংলাদেশে পুলিশের কাজ কি এই সংজ্ঞার সঙ্গে মেলে? এখানে বরং নাগরিকদের কাছে নিপীড়ক হিসাবেই চিহ্নিত হয়ে আসছে পুলিশ। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে দমন-পীড়ন পুলিশকে ‘ভিলেন’ হিসাবেই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
আন্দোলনে গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা ভারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভ বেড়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জনতার রোষ দেখে পুলিশও। থানা ভাংচুর-অগ্নিসংযোগে সেই রোষের প্রকাশ ঘটার পর পুলিশশূন্য হয়ে পড়েছিল প্রায় গোটা দেশ। পরিস্থিতি এমনও হয়েছিল যে ভয়ে কাজে আসতে পারছিলেন না পুলিশ সদস্যরা।
জনগণের বন্ধু হয়ে যাদের থাকার কথা, তারা জনগণের শত্রু হয়ে উঠল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত এক সহকারী মহাপরিদর্শক দেখিয়ে দিলেন আইনকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, “প্রবিধান অনুযায়ী বলতে গেলে পুলিশ কখনোই জনগণের নয়, পুলিশ সব সময়ই সরকারের। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত কিংবা ছাত্র- কে ক্ষমতায় এল, সেটা দেখার সুযোগ পুলিশের নেই। যেই ক্ষমতায় থাকুক, পুলিশ তার অর্ডার মানতে বাধ্য হয়।
“তাই পুলিশকে বদলাতে হলে সবার আগে প্রবিধান সংশোধন করতে হবে। গোড়ায় গলদ রেখে শুধু পোশাক-লোগো বদলে পুলিশি সেবায় পরিবর্তন করা কখনোই সম্ভব নয়।”
গত জুলাইয়ে আন্দোলনে যখন পুলিশের গুলিতে একের পর এক বিক্ষোভকারী মারা যাচ্ছিলেন, তখন সকাল সন্ধ্যা কথা বলেছিল মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে। তারাও বলছিল, না চাইলেও ঊর্ধ্বতনদের আদেশ মানতে বাধ্য তারা।
শুধু এবারই নয়, রাষ্ট্রীয় বাহিনী পুলিশকে সরকারের ‘লাঠিয়াল’ হিসাবে ব্যবহারের নজির দেখা গেছে সব সরকার আমলেই।
পুলিশের ওই এআইজি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এখনও চলছে ১৮৬১ সালে ব্রিটিশদের করা আইনে। তারা পুলিশ বাহিনী গঠনই করেছিল উপমহাদেশ থেকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে এবং নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থ সংরক্ষণের হাতিয়ার হিসাবে। পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৫ ও ১৯৪৩ সালে দুই দফায় পুলিশ আইনটি সংশোধন করে। কিন্তু তারপর থেকে সেটা আর সংশোধন হয়নি।
“আইনটি সংস্কারে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার দাবি তোলা হলেও কোনও সরকারই সেটি বাস্তবায়ন করেনি। সব সরকারই চেয়েছে, পুলিশকে নিজেদের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করতে।”
ওই কর্মকর্তার দাবির সত্যতা মেলে পুলিশ প্রবিধানেও। এর চতুর্থ অধ্যায় ‘সুযোগ-সুবিধা ও সাধারণ নির্দেশাবলীর’ ১০৮ নং প্রবিধানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ‘সরকারী নীতির সমালোচনা নিষিদ্ধ (১৮৬১ সালের ৫নং আইন)।’
এতে আরও বলা আছে, “একজন অফিসার জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনও বিষয়ে নিজস্ব মতামত গঠন করিতে পারিবেন। কিন্তু সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনও নীতি বা কার্যক্রম অনুমোদন করিয়াছেন বলিয়া তিনি বিশ্বাস করিয়া থাকিলে সেই সম্পর্কে তিনি কোনও আক্রমণাত্মক মন্তব্য প্রকাশ করিতে পারিবেন না এবং লিখিত বা মৌখিকভাবে সরকারি নীতি সম্পর্কে কোনও মতামত প্রকাশ করিবেন না। কোনও অফিসার আদিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সরকারের কোনও নির্দেশ পালনে ইচ্ছুক না হইলে ঊর্ধ্বতন অফিসারের নিকট নিজের মনোভাব জ্ঞাপনের পর হয় উক্ত আদেশ আনুগত্যের সহিত নীরবে পালন করিবেন, নয়তো চাকরি হইতে ইস্তফা দিবেন। ইহা ব্যতীত এই ব্যাপারে আর কোনও পথ তাহার জন্য খোলা নাই।”
অর্থাৎ, হয় নির্দেশ মান, নইলে চাকরি ছাড়। এই হলো পুলিশ সদস্যদের অবস্থা।
একই অধ্যায়ের ১১৭ নং প্রবিধানে বলা হয়েছে ‘সকল শ্রেণির অফিসারগণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন (১৮৬১ সালের ৫নং আইন)।
এতে বলা আছে, নিজের পোস্টিংয়ের জেলার ভেতরে বা বাহিরে যেখানেই হোক না কেন, প্রত্যেক পুলিশ অফিসার তাহার ঊর্ধ্বতন পদের অন্য যেকোনও পুলিশ অফিসারের আওতাধীন এবং অনুরূপ ঊর্ধ্বতন অফিসার যে নির্দেশ দেবেন, তা পালন করতে তিনি বাধ্য।
অর্থাৎ, ঊর্ধ্বতনের নির্দেশের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ পুলিশ সদস্যদের নেই।
পুলিশও চায় মুক্তি
ব্রিটিশ আমল প্রণীত পুলিশ আইন সংশোধনের দাবি দীর্ঘদিনের। আইনটি সংশোধন করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার প্রস্তাবও পাঠানো হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সঙ্গে পুলিশ সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ অধ্যাদেশের খসড়া তৈরিও হয়েছিল, যেখানে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। কিন্তু তাও আলোর মুখ দেখেনি।
এবার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রায় ভেঙে পড়া পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ১১ দফা দাবি তুলে কর্মবিরতি শুরু করেছিল।
তাদের দাবির মধ্যে ছিল- প্রচলিত পুলিশ আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল সংস্কার করে যুগোপযোগী করতে হবে, যাতে বাহিনীর মর্যাদা এবং অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকার নিশ্চিত হয়।
এছাড়া পুলিশ বাহিনীকে যেন কোনও দলীয় সরকার তার রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের দাবিও ছিল তাদের।
ঢাকা মহানগর পুলিশের এডিসি পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, আমলাতন্ত্রই পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না।
“এটা শুনতে খারাপ শোনালেও সত্যি যে প্রশাসন ক্যাডার ও বিশেষ সিন্ডিকেট মন্ত্রণালয়গুলোর অযৌক্তিক নিয়ন্ত্রণ ও ঔপনিবেশিক আচরণের মাধ্যমে পুলিশসহ সরকারের কোনও সংস্থাকে আধুনিক হতে দেয়নি। পুলিশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি বা আধুনিকায়নের জন্য একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন সবচেয়ে বেশি জরুরি। এছাড়া পুলিশ প্রবিধানের যুগোপযোগী সংস্কার করতে হবে, যাতে কেউ পুলিশকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে না পারে।”
বাহিনীতে সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়, পুলিশের ডিসিপ্লিন ও চাকরির বয়স অনুযায়ী সদস্যদের প্রমোশন নিশ্চিত করতে হবে। এটা করা সম্ভব হলেও পুলিশ অনেক জনবান্ধব হবে।
“এছাড়া কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যে মূল ধারণা, তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। বর্তমানের কমিউনিটি পুলিশিং সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে।”
এবার জনরোষে পড়ার পর পুলিশ সদস্যদের মধ্য থেকে বাহিনীর পোশাক-লোগো বদলানোর দাবিও উঠেছিল।
তবে আইন সংস্কার না হলে পোশাক-লোগো পরিবর্তন করে কিছুই হবে না বলে মন্তব্য করেন এসআই পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “অতীতেও কয়েকবার পুলিশের পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কী কোনো লাভ হয়েছে? হয়নি। পোশাক পরিবর্তনের জন্য শুধু শুধু কিছু অর্থ ব্যয় হবে রাষ্ট্রের।
“এসব লোক দেখানো কাজ বাদ দিয়ে পুলিশকে জনবান্ধব এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে হলে পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে। যে কমিশন পুলিশের বিদ্যমান আইন, প্রবিধান এগুলোকে যুগোপযোগী করে পুলিশকে জনগণের পুলিশে পরিণত করবে।”
পুলিশের পদোন্নতি, পদায়ন, নিয়োগসহ যাবতীয় পুলিশিং কর্মকাণ্ড যেন কমিশনের হাতে থাকে তা নিশ্চিতে জোর দিচ্ছেন মাঠ পর্যায়ের এই পুলিশ কর্মকর্তা।
“পুলিশ সদস্যরা শুধু বৈধ আদেশ পালন করবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ যদি অবৈধ মনে হয়, তাহলে তা পালনে বিরত থাকবে। এজন্য ডিপার্টমেন্টাল হয়রানি, ভয়ভীতি, হুমকি ও বদলির ভয় দেখানো বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
“পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রার্থীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের রাজনৈতিক পরিচয় সংক্রান্ত বিষয়টি বিলোপ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব পদক্ষেপ না নিলে পুলিশ জনবান্ধব হবে না।”
‘সংস্কার ছাড়া সম্ভব নয়’
অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, পুলিশকে জনবান্ধব করতে হলে ব্রিটিশ আমলের আইনটি সংস্কার করতে হবে। তাহলেই পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের সুযোগ কমে আসবে। তাতে বন্ধ হয়ে যাবে পুলিশের রাজনৈতিক তোষামোদিও।
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সের বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমাদের দেশে প্রচলিত পুলিশ আইন অনুযায়ী জনবান্ধব পুলিশ পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়।
“আমাদের কাঙ্ক্ষিত জনবান্ধব পুলিশ পেতে হলে পুলিশ প্রবিধানের যুপোযোগী সংস্কার ও আধুনিকায়ন খুবই জরুরি।”
ব্রিটিশ আমলে করা পুলিশ আইন ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার বদলে ফেলার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “কিন্তু বাংলাদেশের পুলিশ সেই আগের আইনেই চলছে। পুলিশকে বদলাতে হলে সবার আগে এই আইন বদলাতে বা যুগোপযোগী করতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।”
এই আইনের কারণেই পুলিশ জনবান্ধব হতে পারছে না দাবি করে অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, “এসব কারণে পুলিশের ওপর দেশের সাধারণ জনগণের ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সেই ক্ষোভেরই বিস্ফোরণ হয়েছে।
“এখন পুলিশই পারে সাধারণ মানুষের সেই ক্ষোভকে প্রশমিত করতে। সেজন্য এখন পুলিশের প্রয়োজন জনগণের আস্থাভাজন হওয়া। আর জনগণের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের কোনও বিকল্প নেই। আর জনগণেরও বুঝতে হবে, পুলিশ ছাড়া কোনও রাষ্ট্র চলতে পারে না। তাই তাদেরও উচিৎ সংকট কাটাতে পুলিশকে সহায়তা করা।”
ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিষয়ে বাংলাদেশের প্রথম অধ্যাপক উমর ফারুক পুলিশ প্রবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, “এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমরা বেশি কিছু সুপারিশও দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার ধারণা সেসব সুপারিশের একটি পাতাও কেউ খুলে দেখেনি।”
২০০৭ সালে পুলিশ সংস্কারে সাবেক আইজিপি এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এস এম শাহজাহানকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি হয়েছিল, সেই কমিটি পুলিশ অধ্যাদেশের একটি খসড়াও তৈরি করেছিল।
সেই খসড়ায়ও বলা হয়েছিল, “যুগ যুগ ধরিয়া বাংলাদেশ একটি অতি পুরাতন পুলিশ আইন নিয়া চলিতেছে, যাহা আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য উপযুক্ত নয়। ঔপনিবেশিক আমলে পুলিশ ছিল প্রভূদের সেবাদাস আর স্বাধীনতা উত্তরকালে গত কয়েক যুগ যাবৎ রাজনৈতিক ক্ষমতাবানরা অবৈধ প্রভাবের মাধ্যমে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করিয়া তাহাদের সেবায় নিয়োজিত রাখে।”
উমর ফারুকের মতে, কোনও রাজনৈতিক সরকারই পুলিশ প্রবিধান সংস্কারে উদ্যোগী হয় না। কারণ তারা পুলিশকে নিজেদের ‘লাঠিয়াল বাহিনী’ হিসাবে ব্যবহার করতেই বেশি ইচ্ছুক। তাই এখন সময় পুলিশকে নতুন করে সাজানোর। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই পারে পুলিশকে ঢেলে সাজাতে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পুলিশ সংস্কারের কথা তুলেছে।
বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউনূস পুলিশ সংস্কারে একটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথাও জানান। এই কমিশনের প্রধান করা হচ্ছে সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনকে।
কমিশন পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পর আগামী ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন ড. ইউনূস।
কমিশনের প্রতিবেদন পেয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের রূপরেখা চূড়ান্ত করবে বলে জানান তিনি।