চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এসময় ১৮৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভেঙে পড়েছে এক হাজারের বেশি অবকাঠামো।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে তিব্বতের শিগাতসে শহরে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের লোবুচে পর্বত থেকে প্রায় ৯৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্রবিন্দু ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল। ফলে কেবল তিব্বত নয়; বিহার, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তর ভারতের অনেক অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
লোবুচে পর্বতের অবস্থান নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দেড়শো কিলোমিটার পূর্বে এবং এভারেস্ট বেইজ ক্যাম্পের বেশ কাছে।
এর আগে সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে আফগানিস্তানে ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
ভারতের জাতীয় ভূকম্প কেন্দ্র (এনসিএস) জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালের ওই ভূমিকম্পের আধ ঘণ্টা পর আরও দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তিব্বত-নেপাল সীমান্তে।
প্রথমটির সময় সকাল সাড়ে ৯টা, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৭। এর ঠিক ৫ মিনিট পর ৪ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে ওই অঞ্চলে।
নেপালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল। সেবার রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি কেড়ে নিয়েছিল ৯ হাজার মানুষের প্রাণ। ভেঙে পড়েছিল প্রায় ১০ লাখ স্থাপনা।
এর আগে ১৯৩৪ সালে নেপালে আরেক শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, বিবিসি