যৌতুকের দাবিতে ৩ মাসের অন্ত:সত্ত্বাকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে রাজশাহী সারদা একাডেমির এএসপি আব্দুল কাদেরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ বিচারক মো. শাহরিয়ার কবিরের আদালতে নিহতের ভাই সাদেক হোসেন বাচ্চু এই মামলার আবেদন করেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, নিহত সাদিয়া আক্তার বীনার স্বামী শাহাদাৎ হোসেন শিপন, মা হেনা বেগম, বাবা সৈয়দ আহম্মেদ ওরফে কুট্টি বেপারী, ভাই এএসপি আব্দুল কাদেরের স্ত্রী জেরিন তাসমীয়া, ছোট ভাই মেরাজ হোসেন শাওন, দ্বিতীয় ভাই মাইনউদ্দিন ও তার স্ত্রী হামিদা বেগম, ৩য় ভাই শাহিন ও তার স্ত্রী সুমাইয়া।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ডিবি পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী নার্গিস আক্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে সাদিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর শাহাদাৎ হোসেন ব্যবসার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তবে সাদিয়ার ভাই বাচ্চু যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, গত ১০ অক্টোবর সাদিয়ার বোনের কাছে চেয়েও যৌতুকের টাকা না পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আটিগ্রামের বাড়িতে আসামিরা সাদিয়াকে মারধর করে। প্রাণ বাঁচাতে সাদিয়া পাশের বাসার ছাদে আশ্রয় নেয়। সেখানে গিয়েও আসামিরা তাকে রড দিয়ে পেটায় ও ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
পরে শাহাদাতের বড় ভাই এএসপি আব্দুল কাদেরের নির্দেশে এ ঘটনা চাপা দিতে তারা আত্মহত্যার চেষ্টার নাটক সাজায়। তারা সাদিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা খারাপ হলে আসামিরা পালিয়ে যায়। ১৬ অক্টোবর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাদিয়া।
নিহতের ভাই মামলার বাদী সাদেক হোসেন বাচ্চু জানান, মামলা হবে জানতে পেরে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিকবার মামলা করতে গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে।
এএসপি আব্দুল কাদের এর আগেও একবার এক নির্যাতনের মামলার কারণে পাঁচ বছর বরখাস্ত ছিলেন। শাহাদাৎ হোসেনও আগে একবার বিয়ে করেছিলেন। যৌতুক দাবি করায় সেই স্ত্রী চলে যায় বলে জানান সাদেক হোসেন।