খ্রিস্টিয় নতুন বছরকে সামনে রেখে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আলাদা বাণীতে তারা দেশে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন বছর আমাদের মাঝে বয়ে এনেছে এক নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা। বিরাজমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে আমি আশা করি, সচ্ছল সমাজ ও রাষ্ট্র দেশের দুস্থ, অসহায় ও পশ্চাদপদ মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসবে “
নতুন বছরে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন সমাজ, সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক মানবিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমুখী ‘নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সঠিক পথের দিশা পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, “জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগ, আকাঙ্ক্ষা ও চেতনার পথ ধরে বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাক, নতুন বছরে-এ প্রত্যাশা করি।”
নতুন বছর উদযাপন করতে গিয়ে একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ করেছেন তিনি।
নিজের বানীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার লাখো শহিদের রক্ত ও গত জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করছে।
“আমরা দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব এবং যেকোনো সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করব।”
নতুন বছরের মাহেন্দ্রক্ষণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারের কথাও জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হবে এমন প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি।