Beta
সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫

আসাদুজ্জামান খান কামালকে কসাই বললেন প্রেস সচিব

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বাংলাদেশের কসাই বা বুচার অব বাংলাদেশ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ““আন্দোলনে শিক্ষার্থীদেরকে, শ্রমিকদেরকে, রিকশাচালকদের নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। তার অন্যতম বুচার (কসাই) হচ্ছেন উনি। আসাদুজ্জামান খান কামাল ইজ দ্য বুচার অব বাংলাদেশ।””

রবিবার ঢাকায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুইজারল্যান্ডের ডাভোস সফর সম্পর্কে জানাতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

ভারতের একটি গণমাধ্যমে আসাদুজ্জামান খান কামালের দেওয়া সাক্ষাৎকার এবং তার বরাত দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে কথা বলেন প্রেস সচিব।

সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার প্রচারকে বড় রকমের আন্তর্জাতিক প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন বলেও মনে করেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ““এটা একটা বড় প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন। পৃথিবীর কেউ একটি বুচারকে তার প্লাটফর্ম দেয় না। ইন্টারভিউ ছাপায় না।”

ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ দায়িত্বশীল নেতাদের প্রায় কাউকেই আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। একইভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তকে কিছুদিন আগে কিছু ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সাক্ষাৎকারও দেন কামাল। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি গণঅভ্যুত্থানের পেছনে গোয়েন্দা ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে দেশে ফিরবেন বলেও জানান।

প্রধান উপদেষ্টার বিদেশ সফরের সময় রটা গুজব নিয়ে প্রেস সচিব বলেন, “যারা পালিয়ে গেছে, তারাই এই গুজব রটাচ্ছে। তারা বলেছিল, শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু পালিয়ে গেল। এটা অনেকটা নিজের পিঠ নিজে চুলকিয়ে আনন্দ নেওয়ার মতো বিষয়।”

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গর্ভনর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর ‘কতল করতে হবে’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে শফিকুল বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। দেখে পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তিনি জানাবেন।

মাজারে হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মাজার আমাদের বাংকাদেশের সংস্কৃতির পার্ট। বাংলাদেশের লাখ লাখ জনগণ মাজারে যান। আমরা তাদের রিলিজিয়াস ভ্যালুকে সম্মান করি।

“যারা মাজারে হামলা করবেন, তাদের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স। মুন্সিগঞ্জে কয়েকটা জায়গায় মাজারে হামলা হয়েছিল। আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি সকল হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।”

ডাভোস সফর ‘ঐতিহাসিক’

ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণকে ঐতিহাসিক বলেছেন তার প্রেস সচিব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই সফর। ঐতিহাসিক সফর ছিল। সভায় কমপক্ষে ৪৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ড. ইউনূস।

প্রেস সচিব বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল, আরও বিদেশি বিনিয়োগ বাংলাদেশে আকর্ষিত করার। আমরা সেই কাজ করেছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, সংস্থা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাই।”

আওয়ামী লীগ আমলে পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্যও বেশ কিছু সভা হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেস সচিব বলেন, “গার্মেন্টসের এক্সপোর্ট কি কমেছে? আজকেও একটা পত্রিকায় দেখলাম যে ৫১টি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়েছে। ফ্যাক্টরি বন্ধ হবে, খুলবে, একটা নেচারাল প্রসেস। সরকার দেখে যে বাংলাদেশের এক্সপোর্ট বাড়ছে কি না?

 “বাংলাদেশের এক্সপোর্ট সেপ্টেম্বরে বেড়েছে ৭ শতাংশ, অক্টোবরে ১৬/১৮ শতাংশ, নভেম্বরে প্রায় ২২ শতাংশ। ডিসেম্বরে ১৮ শতাংশের মতো। আমাদের গ্রোথ এরকম।”

তিনি বলেন, “যেসব ফ্যাক্টরির মালিক পালিয়ে গেছে, তাদের পুরো বার্ডেনটা আমাদের ওপর দিয়ে গেছেন। ব্যাংকগুলো থেকে চুরি করে যা যা ছিল সব নিয়ে পালিয়ে গেছে। শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে তারা মজা দেখছেন। এক্সপোর্ট বাড়া মানে জব তৈরি হওয়া। ওভার অল এক্সপোর্ট আমাদের বাড়ছে। আমরা এক্সপোর্টের ফিগারের ব্যাপারে কোনও ম্যানিপুলেটিং করছি না। শেখ হাসিনার আমলে ম্যানিপুলেশন হয়েছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত