Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

এডিপিতে গতি আনতে দাপ্তরিক কাজ বর্ষাকালেই সারতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ প্রকল্প অনুমোদন
মঙ্গলবার ঢাকার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরে এডিপি বাস্তবায়নে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। ছবি : পিআইডি
মঙ্গলবার ঢাকার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরে এডিপি বাস্তবায়নে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। ছবি : পিআইডি
Picture of জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য গৃহীত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্সূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন বাড়াতে দাপ্তরিক কাজ বর্ষাকালেই সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ  নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সভায় প্রায় ৫ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ের ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী মো. আব্দুস সালাম।

মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আমাদের দুই তিন মাস সময় যখন আমাদের বাজেটারি ইয়ার শুরু হয়, তখন সেটা জুলাই মাসের ১ তারিখ। এরপর অগাস্ট-সেপটেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি হয় প্রচুর। এই সময়ে কোনও কাজ করাও সম্ভব হয় না। মাঠের কাজ কেন, কোনও কাজই করা যায় না।

“তাই তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন, বলেছেন যে, এই সময়টা আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। সকল প্রকার পেপার ওয়ার্কস যেগুলো আছে, অফিসে ঘরে বসে করার, কাজগুলো শেষ করেন। যাতে বৃষ্টি থামার পরেই আমরা আমাদের মূল কাজে আমরা অগ্রসর হতে পারি।”

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মানসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণের উপর জোর দিয়েছেন।

সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত ১১ মাসে এডিপি বরাদ্দের মাত্র ৫৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে সরকার।

মন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবারও এক প্রকল্পের একজন পিডি (প্রকল্প পরিচালক) তাদের নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষণে জোর দিতে বলেছেন। এবং একজন পিডিকে যেন একটির বেশি প্রকল্প না দেওয়া হয়, সেটিও লক্ষ্য রাখতে বলেছেন।”

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ঢাকা অঞ্চলে বিশেষে করে ঢাকা জেলার আশেপাশে আবাসনের জন্য কৃষি জমি সবই দখল হয়ে গেছে। এখনও যেখানে কৃষি জমি রয়েছে, সেসব জায়গায় যতদূর সম্ভব কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন,  যাতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।”  

সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ না করা হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন।

এছাড়া দেশের দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ করতে হয়—এমন প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, সভায় প্রায় ৫ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ের ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জোগান দেওয়া হবে ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১০৫ কোটি ৯ লাখ টাকা।

যেসব প্রকল্প অনুমোদন পেল  

>> ‘ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প; ব্যয় ১৪৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

>> ‘বরগুনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প; ব্যয় ৩০০ কোটি টাকা।

>> ‘মুন্সীগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প; ব্যয় ৭০০ কোটি টাকা।

>> ‘রায়পুরা ১২০ মেগাওয়াট (এসি) পিক গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ’ প্রকল্প; ব্যয়  ১০৫ কোটি টাকা।

>> ‘বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী’ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ব্যয় বেড়েছে ১৮৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। 

>> ‘শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র, কিশোরগঞ্জ, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রাম স্থাপন’ প্রকল্প; ব্যয়  ৫৬২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

>> ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন’ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ব্যয় ১৮১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

>> ‘কুমিল্লা-সালদা-কসবা (সৈয়দাবাদ) সড়ককে (এন-১১৪) জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; ব্যয় ১ হাজার ৩৯৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

>> ‘নগরাঞ্চলের ভবন সুরক্ষা’ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ব্যয় বাড়ছে ১৬৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

>> ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়- দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প; ব্যয় বেড়েছে ৯৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা

এবং

>> ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প; ব্যয় এক হাজার ৬২৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত