দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটেও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক রবিবার রাত ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি মেরামত শেষে উৎপাদনের জন্য ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু করা হয়। রবিবার রাত ১১টায় সফলভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধান প্রকৌশলী আরও জানান, ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিট থেকে রবিবার রাত ১১টা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। উৎপাদিত ২১০ থেকে ২২৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ রাত ১২টার পর থেকেই জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ওই ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও সেটি থেকে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। দুটি ইউনিট থেকে গড়ে ২৮৫ থেকে ৩শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রর তিনটি ইউনিটের মধ্যে এক ও তিন নম্বর ইউনিট থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। দুই নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে।
গত জুলাইয়ের শেষ দিকে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। টানা ৩৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ইউনিটটি চালু হয়। একইদিন সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করা হয় এক নম্বর ইউনিটটি।
তবে ৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ইউনিটটি চালু করা হলেও তিনদিনের মাথায় ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে ৯ সেপ্টেম্বর আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এই পরিস্থিতে সংস্কার কাজ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে এক নম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়। আর মেরামত শেষে রবিবার রাতে তিন নম্বর ইউনিটটিও চালু হলো।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সহকারী ব্যবস্থাপক নুরুজ্জামান মিয়া জানান, কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে দুই লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। এই খনি থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে দৈনিক ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ করা হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিট চালু রাখার জন্য দৈনিক প্রায় ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনও চালানো সম্ভব হয়নি। বাসস।