আজকাল অনেক ফিটনেস প্রেমীর কাছে অদ্ভুত এক পানীয় প্রিয় হয়ে উঠছে। কফি এবং প্রোটিন পাউডার, এই দুটো একত্রে মিশিয়ে নতুন এক পানীয় পান করছেন তারা। আর এর নাম দিয়েছেন ‘প্রোফি’। কিন্তু এটা কি স্বাস্থ্যকর?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ‘প্রোফি’ স্বাস্থ্যকর তখনই, যখন এটা শুধুমাত্র সঠিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
প্রোফি ট্রেন্ডিং-এ যোগ দেওয়ার আগে জেনে নিতে হবে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা কতটা।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সারাভানান বালাকৃষ্ণান বলেন, “যদি ইতিমধ্যেই শরীরে প্রোটিনের ভারসাম্য ঠিক থাকে তবে প্রোফি খুব বেশি উপকার নাও করতে পারে। তবে যারা পুষ্টিকর এবং একই সঙ্গে এনার্জি সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্টের খোঁজ করছেন, তাদের জন্য এটা দারুণ হতে পারে।”
বালাকৃষ্ণান আরও বলেন, “মূল কথা হলো ভারসাম্য। পরিমিত পরিমাণে ক্যাফেইন এবং সঠিক অনুপাতে প্রোটিন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে, শক্তি বৃদ্ধিতে এবং পেশি পুনর্গঠনে সহায়ক হতে পারে।”
কিছু কৌশলও বাতলে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। জেনে নেওয়া যাক যেগুলো-
- প্রোফি খাওয়া যাবে অবশ্যই তবে চিনি যুক্ত সিরাপ এবং উচ্চ-ক্যালোরি যুক্ত অতিরিক্ত কিছু যুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কফিতে যে প্রোটিন যুক্ত করা হবে তা যেন অবশ্যই ভালো মানের হয়। ভালো মান এবং সঠিক পরিমাণ, দুটোই খেয়াল রাখতে হবে।
তবে, মুম্বাইয়ের সাইফি হাসপাতালের প্রধান ডায়েটিশিয়ান তাহসিন সিদ্দিকি জানান যে, প্রোফি শক্তি বাড়াতে এবং ক্ষুধা কমাতে সহায়ক হলেও, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, “প্রোফি কারও কারও জন্য বেশ কাজের হলেও সবার জন্যই তা হবে এমন নয়। প্রোটিন পাউডারকে পানি বা দুধ ছাড়া অন্য কিছুর সঙ্গে না মেশানোই ভালো। প্রোটিন পাউডার প্রস্তুতই করা হয় পানি আর দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে। যাতে সহজে হজম হয়। কফির সঙ্গে প্রোটিন যুক্ত হলে তা একটি উচ্চমাত্রার অম্ল জাতীয় পানীয়তে পরিণত হয়। যা সবার পেটের জন্য স্বস্তিকর নাও হতে পারে।
সিদ্দিকি আরও বলেন, “বেশিরভাগ প্রোটিন পাউডারে কৃত্রিম স্বাদ এবং প্রিজারভেটিভ থাকে। যদিও এগুলি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ নয়। কফির প্রাকৃতিক যৌগগুলির সঙ্গে এগুলি মিলিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সত্যিই কারও যথেষ্ট শক্তি আর প্রোটিন দরকার হয়, তবে এক কাপ সাধারণ কফির সঙ্গে একটি সেদ্ধ ডিম, এক মুঠো বাদাম, অথবা কিছু টক দই, এটুকুই যথেষ্ট।