দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট ভবনের ছাদে জমে থাকা বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়েছে বিচারপতিদের আসনে। এতে সাময়িক ব্যাহত হয়েছে আপিল বিভাগের কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হলে ছাদ থেকে পানি পড়ার এ ঘটনা ঘটে। তখন কিছু সময়ের জন্য বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করেন। পরে বিচারপতিদের আসন বিন্যাসে কিছুটা পরিবর্তনের পর বিচার কাজ শুরু হয়।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আসন গ্রহণ করে। এরপর বিচার কাজ শুরু করেন বিচারপতিরা।
কিছুক্ষণ পর ১০টার দিকে হঠাৎ ছাদ থেকে এজলাসের (বিচারপতিদের বসার জায়গা) পূর্ব পাশে একজন বিচারপতির আসনের ওপর ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়তে দেখা যায়। ওই বিচারপতি তখন বিষয়টি তার বেঞ্চ অফিসারকে জানান।
একপর্যায়ে ঘটনাটি প্রধান বিচারপতির নজরেও আসে। এরপর প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। এরপর এজলাসে আসন বিন্যাস পরিবর্তনের পর তারা ফিরে এসে বিচারকাজ শুরু করেন।
এতে ১৫-২০ মিনিট বন্ধ ছিল আদালতের বিচার কার্যক্রম।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “প্রায় ৭০ বছর পুরোনো ভবন এটি। অনেক সময় সংস্কার কাজও করা হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে হয়ত কোথাও লিক করে পানি পড়েছে। এটার জন্য ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছে। গণপূর্তের প্রকৌশলীরা এসে দেখে গেছেন।
“যেহেতু পুরোনো ভবন, তাই সচেতনার সঙ্গে এটির সংস্কার কাজ করতে হবে, যাতে কোনও ক্ষতি না হয়। আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে।”
এ ঘটনার পর ভবনটির ছাদে গিয়ে দেখা যায়, আপিল বিভাগের এক নম্বর কোর্টের অংশের ছাদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ভবনের কর্মীরা জানিয়েছেন, গত তিন দিন ধরে ছাদের দক্ষিণাংশ ত্রিপল দিয়ে ঢাকা রয়েছে।
১৯৬৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
১৯৬৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান এই ভবনের উদ্বোধন করেন। ভবন নির্মাণের সার্বিক তদারকিতে ছিলেন গভর্নর মোনায়েম খান।