কোন এক বা দুই বোলারকে টার্গেট করে রান করার পরিকল্পনা করে ব্যাটিং দল। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটাররাও সেই ছক এঁকেছিল। কিন্তু রাজশাহী অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের পাল্টা ছকে আটকে গেলেন খুলনার ব্যাটাররা। ১৭৯ রানের লক্ষ্যের পিছু ছুটে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে তারা।
সাত বোলার ব্যাবহার করেছেন বিজয়। স্পিনার জিসান আলম ও এসএম মেহেরবকে দিয়ে শুধু ৪ ওভার করিয়েছেন। খন্ডকালীন স্পিনার টেনেছেন কিন্তু পেসারদের টানা বল করাননি। সিলেটের আজকের উইকেট ছিল কিছুটা স্পিন সহায়ক। তাই তাসকিন আহমেদকেও চার ওভারের কোটা পূরন করতে হয়নি।
অবশ্য চতুর্থ ওভারেই খুলনার ইনিংস শেষ করেছেন তাসকিন। নিয়েছেন ২ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী ও রায়ান বার্ল। এছাড়া জিসান আলম, মেহেরব, মৃত্যুঞ্জয় ও শফিউল একটি করে উইকেট নেন। সাত বোলারের সাতজনই উইকেটের খাতায় নাম তুলেছেন।
তাতে খুলনার ব্যাটাররা হাত খুলে খেলতে পারেননি। বারবার বোলার পরিবর্তন করায় তাদের পরিকল্পনাও গড়ে ওঠেনি। সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৩৩ রান এসেছে আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে। এছাড়া মোহাম্মদ নাঈম শেখ করেছেন ২৪।
এই হারে খুলনা প্রথম হারের স্বাদ পেল। তিন ম্যাচ থেকে ২ জয়ে চার পয়েন্ট দলটির। ৫ ম্যাচ থেকে দ্বিতীয় জয়ে সমান সংখ্যক পয়েন্ট পেয়েছে রাজশাহী।
ইয়াসির-রায়ানের ব্যাটে ভালো সংগ্রহ রাজশাহীর
এবারের বিপিএলে শুরুতে আটকে যাওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়ানোর উদাহরণ দেখিয়েছে দলগুলো। তাই বোর্ডে বড় রান উঠেছে। প্রথম ১০ ওভারের তুলনায় শেষের ১০ ওভারে রান এসেছে দ্বিগুন। আরও একবার সেই রানের ফোয়ারা ছুটল দুর্বার রাজশাহী ও খুলনা টাইগার্স ম্যাচে।
শুরুর ১০ ওভারে আগে ব্যাট করা রাজশাহীর রান ছিল ৪ উইকেটে ৬৭। পরের ১০ ওভারে দলটির বোর্ডে রান এসেছে ১১১। সব মিলিয়ে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান তুলেছে রাজশাহী।
৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ৫১ বলে ৮৮ রানের জুটি গড়েন ইয়াসির আলি ও রায়ান বার্ল। ইয়াসির মাত্র ২৫ বলে ৪১ রান করেন ২ ছক্কা ও ৩ চারে। রায়ান বার্ল ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।
মাত্র ৯ বলে ২১ রান করা আকবর আলিকে নিয়ে মাত্র ১০ বলে ২৩ রানরে জুটি গড়েন বার্ল। শুরুর দিকে রাজশাহীর হয়ে মোহাম্মদ হারিস ২০ বলে ২৭ ও জিসান আলম ২২ বলে ২৩ রান করেন। খুলনার নাসুম ২টি ও মোহাম্মদ নাওয়াজ, মেহেদি হাসান মিরাজ ও আবু হায়দার রনি একটি করে উইকেট নেন।