চট্টগ্রামের উইকেটে ১৭১ রান তাড়া করা কঠিন কিছু না। তবে দুর্বার রাজশাহীর বোলাররা বল হাতে দুর্বার হয়ে উঠলেন। এতে বৃহস্পতিবার বিপিএলের চলতি আসরে রংপুর রাইডার্সকে প্রথম হারের স্বাদ পেতে হলো। রাজশাহীর কাছে ২৪ রানে হেরেছে তারা।
ম্যাচে আগে ব্যাট করে দুইশো রানের সম্ভাবনা জাগানো রাজশাহী ৯ উইকেটে ১৭০ রানে থামে। রান তাড়ায় নেমে ১৯.২ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় রংপুর।
যুব দলে খেলে আসা এসএম মেহেরবের অফস্পিন এদিন রাজশাহীকে সৌভাগ্য এনে দেয়। শুরুতে পাওয়ার হিটার ইফতিখার আহমেদ সহ দুই উইকেট এনে দেন এই তরুণ। এছাড়া তাসকিনের এক উইকেটে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেটে পরিণত হয় রংপুর।
ওই চাপ থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। সাইফ হাসান ২৯ বলে ৪৩ ও নুরুল হাসান সোহান ২৬ বলে ৪১ রান করে হাল ধরার চেষ্টায় ছিলেন। শেষের দিকে ১৪ বলে ২৩ রান করে সাইফউদ্দিনও চেষ্টা করেছেন।
অবশ্য রায়ান বার্লের লেগ স্পিনে রংপুর ব্যাটারদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই স্পিনার মাত্র ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠেছে রাজশাহী। রংপুর টানা ৮ ম্যাচ জয়ের পর প্রথম হার হজম করল। ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে তারা। রংপুরের হারে জমে উঠেছে পয়েন্ট তালিকার লড়াই।
ঢাকা পর্বে শেষ রাউন্ডের আগে রংপুর ও ফরচুন বরিশাল সহ বাকি পাঁচ দলেরই সুযোগ থাকছে শীর্ষ চারে থেকে প্লে অফে খেলার।
কোন রকমে ১৭০ রাজশাহীর
দুইশো রানের পথে ছুটতে থাকা দুর্বার রাজশাহী সংগ্রহ পেল ৯ উইকেটে মাত্র ১৭০। শেষের চার ওভারে মাত্র ১৭ রান উঠেছে দলটির বোর্ডে। তাই ভালো সংগ্রহের খুব কাছে থেকেও চট্টগ্রামের উইকেটে রংপুর রাইডার্সকে মামুলী সংগ্রহই দিয়েছে রাজশাহী।
১৫ ওভারে রাজশাহীর রান ছিল ৩ উইকেটে ১৪৩। ইয়াসির রাব্বি ১৬তম ওভারে আউট হওয়ার পর আর এগোতে পারেনি দলটি। দুর্দান্ত পাওয়ার হিটিং করা রাব্বির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩২ বলে ৬০ রানের ইনিংস। ৬টি বিশাল ছক্কার পাশাপাশি দুটি চার মেরেছেন রাব্বি।
৩১ বলে ৩৪ রান করা এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি গড়েছিলেন রাব্বি। রাব্বি ফেরার পরের ওভারেই রান আউটে ফিরতে হয় বিজয়কে। দুই সেট ব্যাটার আউট হওয়ায় দু্টশোর স্বপ্ন ভেঙে যায় রাজশাহীর।
শুযরুতে সাব্বির হোসেন ১৯ বলে ৩৯ ও মোহাম্মদ হারিস ১২ বলে ১৯ করলে ভালো শুরু পায় রাজশাহী। কিন্তু লেজের ব্যাটাররা সবাই ব্যর্থ হওয়ায় রংপুরকে শক্ত টার্গেট দিতে পারেনি।