ব্যালন ডি’অরের দাবিদার ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। শেষ পর্যন্ত তাকে পেছনে ফেলে মর্যাদার পুরস্কারটা জিতেন ম্যানচেস্টার সিটির রদ্রি। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। পুরো ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
এজন্যই মঙ্গলবার ইতিহাদে রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বিশাল এক ব্যানার এনেছিলেন সিটির দর্শকরা। সেখানে একদিকে ব্যালন ডি’অরে চুমু দিতে দেখা যাচ্ছিল রদ্রিকে, অন্য পাশে লেখা—‘তোমাদের এই কান্না এবার থামাও’। সিটির ‘স্কাই ব্লু’ সমর্থকেরা ‘উয়েরি ১৮৯৪’ নামের আড়ালে তিফোটি প্রদর্শন করেন।
গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করছেন রদ্রি নিজে। চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা রিয়াল মাদ্রিদকে জাগিয়ে তুলতে আর কী লাগে! সিটির মাঠেই শেষ ৮ মিনিটের জাদুতে ম্যাচটা ৩-২ গোলে জিতেছে রিয়াল। শেষ দুই গোলে অবদান রেখেছিলেন ভিনিসিয়ুস।
ইনজুরি টাইমে ভিনির পাস থেকেই সিটিকে স্তব্ধ করে দেওয়া গোলটি করেন জুড বেলিংহাম। এর আগে ৮৪ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের শট গোলরক্ষক এদেরসন ঠেকানোর পর ফিরতি বল জালে পাঠান ব্রাহিম দিয়াস।
ম্যাচ শেষে নিজের তেতে থাকা নিয়ে ভিনিসিয়ুস বললেন সেই ব্যানারটির কথা, ‘‘আমি ব্যানারটি দেখেছিলাম। যখনই বিপক্ষের দর্শকরা এমন কিছু করে সেটা আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা জোগায় আমাকে, এখানেও সেটা হয়েছে।’’
রিয়ালের জার্সির বাহুতে খোদাই করা ‘১৫’ সংখ্যাটি মাঠে থাকতেই আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন ভিনিসিয়ুস। বুঝিয়েছেন, ‘‘আমার ব্যালন ডি’অর না থাকলেও দলের ১৫ চ্যাম্পিয়নস লিগ আছে।’’ ম্যাচ সেরা হয়ে ভিনি বোঝালেন, সিটিকে কাঁদানোর ক্ষমতাও আছে তার।
সিটির বিপক্ষে ম্যাচকে ‘ক্লাসিকো’ বলেছিলেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। ভিনিসিয়ুস ম্যাচটা নিয়ে বললেন, ‘‘ওরা আমাদের ইতিহাস জানে, এই টুর্নামেন্টে রিয়াল কি করেছে জানে সেটাও। এ নিয়ে পঞ্চমবার এখানে এলাম। সবসময় এখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে (এর আগে ইতিহাদে ৯০ মিনিটে জিততে পারেনি রিয়াল) তবে এবার আমরা জিতেছি। আর এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখব।’’
শেষ বেলার গোল নিয়ে বেলিংহামকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি, ‘‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ গোল এটা। দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছে বেলিংহাম, সবসময় ওকে ভয়ংকর মনে হচ্ছিল। সিটির বিপক্ষে খেলাটা সবসময় ট্রিকি, শেষ পর্যন্ত শেষ বেলার সুযোগটা নিতে পারায় আমি খুশি।’’