লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বসার সুযোগ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। কিন্তু হলো না। রায়ো ভায়েকানোর সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে পয়েন্ট খুঁইয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। ৬ গোলের থ্রিলারে রিয়ালকে আটকে দিয়ে বার্সেলোনার উপকারই করেছে ভায়েকানো। ১৭ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকল যে কাতালান ক্লাবটিই।
উত্তেজনায় ঠাসা এস্তাদিও দে ভায়েকাসের ম্যাচ শেষে ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই থাকতে হলো রিয়ালকে। সমান ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল বার্সেলোনা। ভায়েকানো থাকল আগের মতোই ১৩তম স্থানে।
আগের ম্যাচে বার্সেলোনা ড্র করায় রিয়ালের শীর্ষে বসার সুযোগ তৈরি হয়। কারণ এক ম্যাচ কম খেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লস ব্লাঙ্কোদের পার্থক্য ছিল মাত্র ২ পয়েন্টের। অর্থাৎ, ভায়েকানোর সঙ্গে জিতলেই শীর্ষে উঠবে তারা। কিন্তু হেলায় নষ্ট করল সুযোগ।
শুরুতে ২ গোলে পিছিয়ে পড়া রিয়াল মাদ্রিদ কিছুটা যেন ভড়কে গিয়েছিল। পরে অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩ গোল দিয়ে এগিয়ে যায়। তবে ভায়েকানো আবারও জাল খুঁজে নিলে ৩-৩ ড্রতে শেষ হয় দুই দলের লড়াই।
নিজেদের মাঠে শুরুতেই এগিয়ে যায় ভায়েকানো। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে আড়াআড়ি হেডে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন উনাই লোপেস। ডান প্রান্ত থেকে হোর্হে দে ফ্রুতোসের ক্রস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ৩৬ মিনিটে গ্যালারিতে উৎসবের ঢেউ তুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আব্দুল মুমিন। ইসি পালাজোনের কর্নার কিক থেকে হেডে গোল করেন এই ডিফেন্ডার।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়লেও খেলায় ফিরতে দেরি হয়নি রিয়ালের। মিনিট তিনের পরই দূরপাল্লার শট থেকে ব্যবধান কমান ফেদে ভালভার্দে। এরপর বিরতিতে যাওয়ার আগেই খেলায় সমতায় ফেরায় সফরকারীরা। স্কোরশিটে এবার নাম তোলেন জুড বেলিংহাম। রোদ্রিগোর চমৎকার ক্রস থেকে হেডে জাল খুঁজে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া রিয়াল বিরতি থেকে ঘুরে এসে ম্যাচে প্রথমবার লিড নেয়। ৫৬ মিনিটে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের চমৎকার শটে দেখার মতো এক গোল করেন রোদ্রিগো।
ম্যাচের উত্তেজনা তখনও শেষ হয়নি। রিয়াল মাদ্রিদের এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তির স্থায়িত্ব ছিল ৮ মিনিট। ৬৪ মিনিটে ভায়েকানোকে সমতায় ফেরান পালাজোন। ফ্লোরিয়ান লেয়েউনির বাড়ানো বল বক্সের ভেতর থেকে পা ছুঁইয়ে জালে জড়ান এই উইঙ্গার। শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের স্কোরলাইন রেখে রিয়ালের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে ভায়েকানো।