রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে বলে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার বিরোধিতা করেছে বিএনপি।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের সমালোচনা করা মানে সেই সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা নয়, এটিই গণতন্ত্রের রীতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ীর নবী টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। সেখানে একথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বিচার বিভাগ, দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কথাবার্তা এবং আচরণ কেন হাসিনার মত হবে? আপনারা অগ্রযাত্রাকে সহযোগিতা করবেন। সরকারের সমালোচনা করা মানে সেই সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা নয়, এটিই গণতন্ত্রের রীতি।”
যে বক্তব্যের বিরোধিতা রিজভী করলেন, সেটি নাহিদ ইসলাম দিয়েছিলেন বুধবার সচিবালয়ে। ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্নেন্সের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে করতে গেলে উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো চাচ্ছে সংস্কার তাদের অধীনেই হোক। তাই তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। তারা সংস্কারের পরিবর্তে নির্বাচনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।”
এই বক্তব্যের জবাবে রিজভী বৃহস্পতিবার বলেন, “ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে যদি বলি তার মতো সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যখন দেশের গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করে রেখেছিল, খালেদা জিয়া যখন অত্যাচারিত হয়েছেন, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তরি করে রাখা হলো, বিনাদোষে বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ করা হলো, গুম-খুনে মেতে উঠেছিলো সরকার তখন তো ড. ইউনূস একটি বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানাননি।”
অথচ ড. ইউনূসের প্রতি যখনই অন্যায় হয়েছে বিএনপি তার প্রতিবাদ করেছে বলে জানান রিজভী।
এসময় ভারতের সমালোচনাও করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, “আজকে পতিত স্বৈরশাসকের জন্য ভারত মায়াকান্না করছে। দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এই যাত্রাবাড়ীতে তো শত-শত মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এখানেই তো অনেক মন্দির আছে সেখানে কোনও হামলা হয়েছে? হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়েছে? এসব ধূম্রজাল সৃষ্টি করে তারা গণধিকৃত আওয়ামী লীগকে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ঢাকা-৫ আসনের সমন্বয়কারী নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম, মকবুল হোসেন টিপুসহ যাত্রাবাড়ীতে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।