শুরুটা ২০১৩ সালে কলকাতার ইডেনে। রোহিত শর্মা শেষ টেস্ট কি মেলবোর্নেই খেলে ফেললেন? ভারতীয় মিডিয়ায় জোড় গুঞ্জন সিডনি টেস্টে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হবে ভারতীয় অধিনায়ককে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের পর্ব শুরু হবে জুনে। ততদিনে রোহিত শর্মার বয়স ৩৮ বছর পেরিয়ে যাবে। নতুন চক্রে রোহিত কি ভাবনায় থাকবেন ভারতীয় নির্বাচকদের?
সিডনি টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন নতুন শুরুর, ‘‘একটা কথা পরিষ্কার করতে চাই, যত দিন ড্রেসিংরুমে সৎ মানুষেরা রয়েছে তত দিন ভারতীয় ক্রিকেট নিরাপদ হাতে থাকবে। যে কোনও পালাবদলের ক্ষেত্রেই সততা গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়রদের বিদায় জানিয়ে তরুণদের দলে আনার মধ্যেই বিষয়টা আটকে নেই। একমাত্র পারফরম্যান্সই আপনাকে ড্রেসিংরুমে রাখতে পারে। সত্যি কথা আর সততা গুরুত্বপূর্ণ।’’
বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ৩ টেস্টে রোহিতের সর্বোচ্চ রান ১০। তার পাঁচটি ইনিংস ৩,৬, ১০, ৩ ও ৯। তাই সিডনিতে বাদ পড়ার শঙ্কায় রোহিত। এজন্যই কিনা সংবাদ সম্মেলনে আসেননি তিনি। গৌতম গম্ভীর সরাসরি অবশ্য বলেননি তাকে বাদ দেওয়ার কথা, ‘‘রোহিতের কোনো সমস্যা নেই। প্রধান কোচ আছে, এতে সব ঠিক থাকার কথা। আমরা উইকেট দেখে একাদশ ঠিক করব আগামীকাল।’’
রোহিত সেই একাদশে আছেন কিনা জানতে চাইলে একই উত্তর গম্ভীরের, ‘‘এই মাত্র বলেছি আমরা উইকেট দেখে আগামীকাল একাদশ ঘোষণা করব। উত্তরটা বদলাচ্ছে না তাই।’’ রোহিত না খেললে নেতৃত্ব দিবেন জাসপ্রিত বুমরা। আর রোহিতের জায়গায় ফেরানো হতে পারে শুবমান গিলকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পরে জানিয়েছে, সিডনিতে না খেলার সিদ্ধান্ত রোহিত এরই মধ্যে কোচ গম্ভীর ও নির্বাচক অজিত আগারকারকে জানিয়ে দিয়েছেন। এই দুজনও মেনে নিয়েছেন এটা। এর অর্থ, সিডনিতে খেলছেন না রোহিত। এর আগে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইক ডেনিস ১৯৭৪-৭৫ অ্যাশেজে নিজের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সিডনি টেস্ট থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে।
ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত বলে খবর বেড়িয়েছে ভারতীয় মিডিয়ায়। ম্যাচের পরিস্থিতি ভুলে গিয়ে ‘স্বাভাবিক খেলার’ নামে আউট হওয়া ব্যাটারদের ওপর নাকি ক্ষোভ ঝেড়েছেন গম্ভীর। সংবাদ সম্মেলনে এটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন ভারতীয় কোচ, ‘‘এসব গুজব, সত্যি না। খেলোয়াড় আর কোচদের মধ্যে বিতর্ক ড্রেসিংরুমে থাকা উচিত। শুধু কড়া কথাবার্তা হয়েছে আমাদের। তবে কোচ আর খেলোয়াড়দের মধ্যে যে কোনো বিতর্ক তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।’’
সিডনি টেস্টে হারলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা হবে না ভারতের। তবে সিরিজ শুরুর আগে চার টেস্ট শেষে ফল ২-১ হবে জানা থাকলে নাকি খুশিই হতেন গম্ভীর, ‘‘নিয়ন্ত্রণেই আছে সবকিছু। ৪০-৪৫ দিন আগে কেউ যদি বলতেন, আমরা সিডনিতে সিরিজ ড্র করার মতো অবস্থায় থাকব, সেই অবস্থানটা আসলে ভালোই।’’
এদিকে সিডনির উপকণ্ঠে কিরিবিলি হাউসে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের নৈশভোজের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ ও তাঁর বাগ্দত্তা জোডি হেইডন। সেখানেই সিরিজে সবচেয়ে বেশি ৩০ উইকেট নেওয়া বুমরাকে নিয়ে অ্যালবানিজ মজা করেছেন।
বুমরাকে থামাতে কি করতে হবে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ মজা করে বললেন, ‘‘‘যতবারই সে বল করতে আসে, ততবারই খুব রোমাঞ্চকর মনে হয়। তার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় একটি আইন পাস করতে পারি। হয় তাকে বাঁ হাতে অথবা এক কদম দৌড়ে বল করতে হবে!’’