Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

ঝড় তুলে ১৬ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে ডাচরা

ডডডঙঙ
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

রোমানিয়া ০ : ৩ নেদারল্যান্ডস

একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে চলেছিল নেদারল্যান্ডস। কখনও বল লাগছে পোস্টে তো কখনও ভিএআরে বাতিল হচ্ছে গোল। ম্যাচ চলার সময়ই ইংল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার ড্যানি মারফি বলছিলেন, ‘‘নেদারল্যান্ডস দ্বিতীয় গোল না পেলে অপর প্রান্তে রোমানিয়া হৃদয় ভাঙতে পারে তাদের।’’

শেষ পর্যন্ত হৃদয় ভাঙেনি নেদারল্যান্ডসের। রোমানিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ২০০৮ সালের পর প্রথমবার ইউরোর শেষ আটে সুযোগ পেল নেদারল্যান্ডস। জোড়া গোল ডোনিয়েল মালেনের, অপর গোলটি কোডি গাকপোর। টানা ১৬ বছর ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে না পারার হতাশা দূর হলো তাতেই।

ম্যাচে ৬৫.১ শতাংশ বলের দখল রেখে গোলের জন্য পোস্টে ২৩টা শট নিয়েছিল ডাচরা, লক্ষ্যে ছিল ৬টি। সেখানে রোমানিয়া লক্ষ্যে রাখতে পারে ১টিই শট। এই পরিসংখ্যানে ফুটে উঠছে খেলার ছবিটা। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রনেই রোমানিয়ার উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে ডাচরা।

রোমানিয়ার শুরুটা খারাপ ছিল না। ভালো প্রেস করছিল তারা। কিন্তু ২০তম মিনিটে গোল হজমের পরই খেলার গতি কমিয়ে দেয় তারা। প্রথম ৪৫ মিনিটে মাত্র ৭৯টা পাস সঠিক ছিল তাদের যা এবারের ইউরোয় সর্বনিম্ন।

 বিরতির আগে নেদারল্যান্ডস আদায় করেছিল ১০টা কর্নার। ২০০০ ইউরোয় ইতালির বিপক্ষে সুইডেনের ১১ কর্নারের পর যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গতি আর ডাইরেক্ট ফুটবলে রোমানিয়ার রক্ষণের কাজটা কঠিন করে তুলেছিল তারা।

জোড়া গোল ডোনিয়েল মালেনের।

২০ মিনিটে গোলের দেখা পায় নেদারল্যান্ডস। জাভি সিমন্সের কাছ থেকে বল পেয়ে বাম দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন কোডি গাকপো, একজনের বাধা এড়িয়ে নিচু শটে  বল জালে জড়ান তিনি। শটের আগে তার দ্রুত মুভে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন ডিফেন্ডাররা, তেমনি গোলকিপারও।

 ইউরো আর বিশ্বকাপ মিলিয়ে তখন পর্যন্ত পোস্টে ১৩টা শট নিয়ে গাকপো লক্ষ্যে রাখেন ৮টা আর গোল পেয়েছেন ৬টা। এবারের আসরে তার গোল তিনটি। সত্যিই বড় মঞ্চেরই খেলোয়াড় তিনি। বিরতির আগে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস।

৪৪তম মিনিটে সিমন্স ভালো জায়গায় বল পেয়েও নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় ব্যবধান ২-০ করতে পারেনি ডাচরা। বক্সে ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে সিমন্সকে কাটব্যাক করেছিলেন ডামফ্রিস। এর কিছুক্ষণ আগে ডিপাইয়ের সরাসরি কর্নার অল্পের জন্য যায় বাইরে দিয়ে।

বিরতির পর রোমানিয়া গুছিয়ে শুরু করে কিছুটা। তবে ডাচরা ছিল আক্রমণাত্মক। ৪৯ মিনিটে টিজানি রেইজেনডার্স দুর্দান্ত দৌড়ে প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন গোল। সুযোগটা নষ্ট না করলে সেটা হতে পারত ‘গোল অব দ্য ইউরো’। ৫৪ মিনিটে মেমপিস ডিপাইয়ের দুর্বল শট বিপদমুক্ত করেন রাদু দ্রাগুসিন। ৫৮ মিনিটে ভার্জিল ফন ডাইকের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।

৬২ মিনিটে আবারও কাছ থেকে নেওয়া শটে বল জালে জড়িয়েছিলেন গাকপো। নাথান আকের ফ্লিকে গোলকিপারের সামনে বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অফসাইডের কারণে দ্রুতই গোল বাতিল করে ভিএআর।

৮৩ মিনিটে গাকপোর পাস পেয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডোনিয়েল মালেন। বাইলাইনের কাছে প্রতিপক্ষের একজনের চ্যালেঞ্জ সামলে দারুণ পাস দিয়েছিলেন গাকপো। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে মালেনের জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানের জয়ে মাঠ ছাড়ে ডাচরা।

এবারের ইউরোয় প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে জোড়া গোল করলেন বদলি নামা মালেন। ডাচরাও বোঝাল তারা আরও বেশিদূর যাওয়ার জন্য তৈরি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত