ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে আদর্শ করেই বেড়ে উঠেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শৈশবে রোনালদোর ছবি থাকত এমবাপ্পের বেডরুমে। ২০১২ সালে রিয়ালে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তরুণ এমবাপ্পের। তিনি প্রথম যে কাজটি করেছিলেন, সেটা রোনালদোর সঙ্গে ছবি তোলা।
সেই গুরু রোনালদো আর শিষ্য এমবাপ্পের দেখা হয়ে যেতে পারে এবারের ইউরোয়। এই সমীকরণ মেলাতে হলে আজ পর্তুগালকে জিততে হবে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে আর ফ্রান্সকে হারাতে হবে বেলজিয়ামকে।
ফিফা র্যাঙ্কিয়ে ফ্রান্স দুই আর বেলজিয়াম রয়েছে তিনে। ইউরোয় গ্রুপ পর্বে দুই দলই রানার্সআপ হওয়ায় দেখাটা হচ্ছে শেষ ষোলোতে। আর গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচের আগে এমবাপ্পের দুশ্চিন্তা নাক নিয়ে।
![](https://www.shokalshondha.com/wp-content/uploads/2024/07/11111111.png)
সংবাদ সম্মেলনে ভাঙা নাকের জন্য মাস্ক পরে অস্বস্তি নিয়ে খেলার কথা জানালেন এমবাপ্পে, ‘‘কেউ ভাঙা নাক নিয়ে খেললে টার্গেটে পরিণত হতেই পারে। অস্ত্রোপচার না করিয়ে খেলার জন্য হয়তো কিছুটা আক্রমণের শিকার হতে পারি। আহতও হতে পারি, তবে এই জার্সির জন্য সব কিছু দিতে আমি প্রস্তুত।’’
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে আঘাত পাওয়ার পর এমবাপ্পের মনে হচ্ছিল ইউরো হয়তো শেষ। সেটাও স্বীকার করে নিলেন সংবাদ সম্মেলনে, ‘‘বুঝতে পারিনি নাকটা ভেঙে গেছে। ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পর আমাকে ঘিরে যা হচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল হয়তো বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। শুরুর দিকে সব কিছু কঠিন ছিল। দুই রাত ঘুমছাড়া কাটিয়েছি। তারপরও নিজের সেরটা দিতে প্রস্তুত আমি।’’
বড় টুর্নামেন্টে ফ্রান্স সবসময় দাপট দেখিয়েছে বেলজিয়ামের বিপক্ষে। ১৯৩৮ বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল কিংবা ২০২১ নেশনস লিগের সেমিফাইনালে জিতেছিল ফ্রান্স। কেভিন ডি ব্রুইনাদের বিপক্ষে আজ সেই ধারা ধরে রাখাই লক্ষ্য এমবাপ্পেদের।
রোনালদোর পর্তুগাল গ্রুপ পর্বে হেরে ছিল জর্জিয়ার কাছে। সেই ম্যাচে অবশ্য সেরা দলের ১০ জন বিশ্রামে ছিলেন। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে এর আগে একবারই খেলেছে পর্তুগাল। সেই প্রীতি ম্যাচে তাদের হার ২-০ গোলে। আজ রোনালদোদের প্রতিশোধের মিশন। সেটা সফল হলেই কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হয়ে যাবে গুরু রোনালদো আর শিষ্য এমবাপ্পের।