Beta
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

খাল উদ্ধারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো সাদিক অ্যাগ্রো  

ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযানে সাদিক অ্যাগ্রোর বিরাট অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযানে সাদিক অ্যাগ্রোর বিরাট অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

টানা তৃতীয় দিন উচ্ছেদ অভিযান চলল সাদিক এগ্রোতে; এই খামারের যতটুকু অংশ খালের ওপর গড়ে তোলা হয়েছিল, তার পুরোটাই গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

দামি গরু-ছাগল তুলে আলোচনায় আসা সাদিক এগ্রো ঢাকার রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বলে খবর প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার সেখানে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

শুক্রবারের পর শনিবারও চলে উচ্ছেদ অভিযান। বৃষ্টির কারণে এদিন দুই ঘণ্টা দেরিতে দুপুর ১২টায় শুরু হয় অভিযান। বিকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে সাদিক অ্যাগ্রোর অবশিষ্ট অংশসহ আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম মাহবুব হাসান অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এসময় ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশও ছিল।

ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযানে সাদিক এগ্রোর প্রায় পুরোটায় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উচ্ছেদ করা হয় খাল দখল করে গড়ে তোলা ৭০টি স্থাপনা। এরমধ্যে ৯টি ছিল পাকা স্থাপনা।

উচ্ছেদ অভিযানের সময় খামারটির পেছনের বস্তির মানুষ তাদের ঘরের আসবাবপত্র, টিন ও বাঁশ সরাতে থাকেন সকাল থেকে। তারা আশ্রয়হারা হয়ে পড়ছেন, এমন কথা জানিয়ে উচ্ছেদ থামানোর চেষ্টা করেন তারা। তবে অভিযানে অংশ নেয়া কর্মকর্তারা তা কানে তোলেননি।

তিন দিনের বিশেষ অভিযানে ২০ বিঘা জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে ডিএনসিসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ডিএনসিসির তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান বলেন, “তিন দিনব্যাপী উচ্ছেদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। এরইমধ্যে খালের যে অংশ ভরাট করা হয়েছিল, সেটির খনন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

“উচ্ছেদ করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, কাঠের মিল, রাজনৈতিক দলের অফিস ও একটি গবাদি পশুর বাণিজ্যিক ফার্মের স্থাপনা। সব মিলিয়ে ৭০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। খালের ১০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ বলেছিলেন, “অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে রামচন্দ্রপুর খালকে ফিরিয়ে আনা হবে।”

সাদিক এগোতেই ছিল কোরবানির ঈদের আগে আলোচনায় আসা ‘উচ্চ বংশীয়’ ছাগল ও গরু। সাদিক এগ্রো একটি ছাগলের দাম হাঁকে ১৫ লাখ টাকা। এত দামের পেছনে ব্যাখ্যা ছিল উন্নত জাত ও বংশ মর্যাদা।

সেই ছাগল কিনতে গিয়ে ভাইরাল হন তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত। সেই ছাগলের রশি ধরে টান পড়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের, যখন জানা যায় এই তরুণ তারই ছেলে। ছেলের ছাগলকাণ্ডের পর সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এনবিআরের পদ হারিয়েছেন মতিউর। তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

ছাগলের পাশাপাশি সাদিক এগ্রোর গরুর উচ্চ দাম নিয়েও কথা ওঠে, সমালোচনা ওঠে এর মালিক ইমরান হোসেনকে নিয়েও। তারমধ্যেই খামারটিতে অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় ডিএনসিসি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত