রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ ও শামীম আরা নীপা এ খবর গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
তারা বলছেন, ৬৯ বছর বয়সী রবীন্দ্র সঙ্গীতের এ শিল্পী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। ছোট ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ জানিয়েছেন, আত্মহননের আগেও তানপুরা দিয়ে সঙ্গীত চর্চা করেছেন সাদি মহম্মদ। সন্ধ্যার পর বন্ধ দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বছর খানেক আগে প্রয়াত শিল্পীর মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ বার্ধক্যজনিত কারণে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান। সেই থেকেই সাদি মহম্মদ অনেকটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। সম্ভবত মায়ের মৃত্যুর পর দীর্ঘ শোক ও বিষণ্ণতার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন এ শিল্পী।
১৯৭১ সালে সাদি মহম্মদের বাবা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা সলিম উল্লাহকে হত্যা করে বিহারী ও হানাদার বাহিনী। ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পুড়িয়েও দেওয়া হয় তাদের মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের সি-১২/১০ বাড়িটি। ওই সময় পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেও পরবর্তীতে ১০ সন্তানকে নিয়ে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছিল প্রয়াত সাদী মহম্মদের মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহকে।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদি মহম্মদ জানিয়েছিলেন, ওই বাড়িতে নিয়মিত বৈঠক বসতো আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। বঙ্গবন্ধুপুত্র শহীদ শেখ কামালও সেখানে গিয়েছেন বহুবার। সাদি মহম্মদ ছিলেন বাড়ির সেজ ছেলে।
একাত্তরের ২৩ মার্চে তাজমহল রোডের বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন বাবা সলিমউল্লাহ ও সাদি মহম্মদ। আর সেই পতাকা সেলাই করে দিয়েছিলেন মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ। সাদী ও শিবলী মহম্মদের বাবার নামের রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে।
বাজারে সাদি মহম্মদের ৫০টিরও বেশি অ্যালবাম বেরিয়েছে।