ছুরিকাহত হওয়ার ছয় দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান।
মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে, বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত ভালো আছেন অভিনেতা কিন্তু অস্ত্রোপচার হওয়ার কারণে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।
গত বুধবার গভীর রাতে এই বলিউড তারকার বাড়িতে ঢুকে পড়ে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায় এক ব্যক্তি। এ সময় সাইফ আলি খান তাকে বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন। তাকে উপর্যুপরি ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়।
রাত আড়াইটার দিকে অটোরিকশাতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার শরীর থেকে বের করা হয় ভাঙা ছুরির টুকরা। এরপর সাইফকে রাখা হয় আইসিইউতে।
তিন দিনের অনুসন্ধানে মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শাহজাদ (৩০) নামে একজনকে ধরার পর মহারাষ্ট্র পুলিশ বলছে, এই যুবক বাংলাদেশি।
চুরির উদ্দেশে ঢুকে ধরা পড়া এড়াতে সাইফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছিলেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে মুম্বাই পুলিশের ধারণা, ওই হামলাকারী বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারে। কারণ তার কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ কোনও নথি পাওয়া যায়নি। আবার এমন কিছু পাওয়া গেছে, যা থেকে ধারণা করা যাচ্ছে যে তার বাড়ি বাংলাদেশে।
তার বিরুদ্ধে পুলিশের প্রথম অভিযোগ, তিনি অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছেন। এ দেশে গত পাঁচ-ছ’মাস ধরে নাম বদলে বদলে নানা জায়গায় কাজের সন্ধান করে বেড়াচ্ছিলেন।
পুলিশের দাবি, বিজয় দাস নাম নিয়ে গত ৫-৬ মাস ধরে মুম্বাইয়ে থাকছিলেন শরীফুল। তিনি কাজ নিয়েছিলেন একটি হাউজকিপিং কোম্পানিতে।
তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি দীক্ষিত গেদম জানান, শরিফুল স্বীকার করেছেন কাজের অভাবেই চুরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম রাতেই ঢুকেছিলেন সাইফের ঘরে। কিন্তু জানতেন না কার বাড়ি চুরি করতে যাচ্ছেন।
এদিকে মঙ্গলবার শরীফুলকে নিয়ে পুলিশের একটি দল সাইফের বান্দ্রায় বাসায় গিয়ে তাকে দিয়ে পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।