বরাবরের মতো এ ডিসেম্বরেও রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক উপত্যকায় পর্যটকের ঢল নেমেছে। সেখানকার রিসোর্ট আর কটেজের সব কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে যাওয়ায় তিল ধারণের জায়গা নেই। বুকিং ছাড়া রাঙ্গামাটির নয়নাভিরাম এই উপত্যকায় বেড়াতে এসে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতি জানিয়েছে, উপত্যকাটিতে ১১৬টি রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। এসব রিসোর্ট ও কটেজের কক্ষে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের মতো পর্যটক থাকতে পারেন। এক সপ্তাহ আগে থেকে এসব কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। এ মুহূর্তে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছেন।
রিসোর্ট-কটেজ মালিকরা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সাজেকে পর্যটকের সমাগম বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বিজয় দিবসের ছুটির সময় থেকে এ সংখ্যা বাড়তির দিকে। অনেকে কক্ষ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার কোনও রিসোর্ট বা কটেজে থাকার জায়গা না পেয়ে দুইশোর বেশি পর্যটককে পর্যটনের ক্লাব ঘর, কর্মচারীদের কক্ষ ও মসজিদে রাত কাটাতে হয়।
সাজেক ভ্যালির হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্র চাকমা বলেন, “সাজেকে প্রতি ডিসেম্বরের মতো এবারও পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। আমাদের রিসোর্টসহ এখানকার সব রিসোর্ট ও কটেজের কক্ষ আগাম বুক করা। কোনও কক্ষই বলতে গেলে খালি নেই।”
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জয় বলেন, “গত শুক্রবার প্রায় দুই শতাধিক পর্যটক বুকিং না দিয়ে সাজেকে ঘুরতে এসে বিপাকে পড়েন। পরে ক্লাব ঘর, কর্মচারীদের কক্ষ ও মসজিদে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
“কেউ কক্ষ না পেয়ে থাকলে বা রিসোর্ট-কটেজগুলো ভাড়া বেশি নিলে সঙ্গে সঙ্গে যেন কটেজ মালিক সমিতিকে জানানো হয়, এজন্য পর্যটনকেন্দ্রে মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা চাই, সাজেকে বেড়াতে এসে কোনও পর্যটক বিপদে না পড়ুক।”