এক মাস ১২ দিন পর পর্যটকদের জন্য খুলছে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্র।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পর্যটকরা আবার সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি শহর, দীঘিনালা উপজেলা এবং ২০ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় দুই জেলায় চারজন নিহত হয়, আহত হয় শতাধিক মানুষ।
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত কার্যক্রম চলমান থাকাকালেই গত ১ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দফায় দফায় রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে জেলা প্রশাসন।
এরপর ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান– তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলো।
টানা নিষেধাজ্ঞার পরে গত ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও সাজেক এর বাইরে ছিল। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে পর্যটকদের সাজেকে যাতায়াত করতে হয় খাগড়াছড়ি জেলা হয়ে।
খাগড়াছড়ি উন্মুক্ত হচ্ছে আগামী ৫ নভেম্বর। মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সকল পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে মঙ্গলবার থেকে সাজেকে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির তথ্য বলছে, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত প্রায় দেড় মাস ধরে সাজেক পর্যটকশূন্য থাকায় রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
মঙ্গলবার থেকে সাজেকে আবার পর্যটকের আনাগোনা শুরু হবে জানিয়ে সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা বলেন, “পর্যটক না থাকায় অনেক রিসোর্ট-কটেজের কর্মচারী সাজেক ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছিল। এখন আবার পর্যটক আসার খবরে আমরা আগের মতো করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।”
জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাঙ্গামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, “সাজেক পর্যটনকেন্দ্র রাঙ্গামাটি জেলার মধ্যে হলেও যাতায়াত করতে হয় খাগড়াছড়ি জেলা হয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণের সিদ্ধান্তটা খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন দেবে।”
মঙ্গলবার থেকেই খাগড়াছড়ির সবগুলো পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সেখানকার জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার থেকে পর্যটকরা সাজেকেও ভ্রমণ করতে পারবেন।”