সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা ৫০টি নৌকা ধ্বংস করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অভিযানে প্রায় আটশ নৌকার বালু নদীর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
জাফলংয়ের ইসিএভুক্ত (প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন) এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযানে সহায়তা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাঈদুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ, বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার জাবেদ।
এছাড়া অভিযানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও পুলিশ সদস্যরা ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাফলংয়ের পিয়াইন ও গোয়াইন নদের বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকা দিয়ে শ্রমিকেরা বালু ও পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন করে তীরে নিয়ে আসে। তীর থেকে এসব বালু-পাথর ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।
অভিযানের সময় ট্রাক চলাচলের পথও রড-সিমেন্টের পিলারের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জাফলং বল্লাঘাট, জুমপাড়, লাখেরপার, নয়াবস্তি ও জাফলং ব্রিজ এলাকার পাঁচটি পয়েন্টে ব্যারিকেড দেওয়া হয়।
অভিযানে জাফলংয়ে নদীর পাশে ও বালু চরে সিলেটের বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের আবাসনের জন্য গড়ে তোলা ১০টি শ্রমিক ক্যাম্পও অপসারণ করা হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাঈদুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে জানান, অভিযানে ইসিএভুক্ত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৫০টি নৌকা বিনষ্ট করা হয়। এছাড়া পিয়াইন ও গোয়াইন নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা প্রায় ৮০০ নৌকাভর্তি বালু পানিতে ফেলা হয়। পাশাপাশি ৪৫টি ট্রাকের বালু আনলোড করে জব্দ করা হয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বহিরাগত শ্রমিকের সীমান্তবর্তী জাফলং এলাকায় অবস্থান করাটা উদ্বেগজনক জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শ্রমিকদের জন্য তৈরি অস্থায়ী তাঁবুও অপসারণ করা হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ইসিএভুক্ত এলাকায় অবৈধভাবে যেন কেউ বালু বা পাথর উত্তোলন করতে না পারে, সেজন্য টাক্সফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। জাফলংয়ের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় ভবিষ্যতেও অভিযান চালানো হবে।”