সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। ইউরোপিয়ান ফুটবলে টুকটাক খবর রাখা মানুষটিও জানেন এটা রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ। এই মাঠেই মাদ্রিদের অভিজাতদের কত সুখস্মৃতি। ৭০ বছর আগে নামকরণ হওয়া সান্তিয়াগো বার্নাব্যু আর থাকছে না। নতুন নাম পাচ্ছে রিয়ালের স্টেডিয়াম। মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কার খবর এমনই।
১৯৫৫ সালের ৪ জানুয়ারি রিয়ালের স্টেডিয়ামটির নাম দেওয়া হয় এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। ক্লাবটির কিংবদন্তি সভাপতি, খেলোয়াড় ও কোচ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নামে করা হয় স্টেডিয়ামের নাম।
বার্নাব্যু দীর্ঘ ৩৫ বছর সভাপতি ছিলেন রিয়ালের। তার সময়ে সাফল্যের বৃষ্টিতে ভিজেছিল মাদ্রিদের ক্লাবটির। ৬টি ইউরোপিয়ান কাপ (এখনকার চ্যাম্পিয়নস লিগ) ও ১৬টি লা লিগার সঙ্গে আরও অনেক শিরোপা ঘরে তুলেছিল রিয়াল। শুধু নিজের ক্লাব নয়; শোনা যায়, ১৯৫৮ সালে মিউনিখ ট্র্যাজিডির পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পুনর্গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন এই বার্নাব্যু।
রিয়ালের ইতিহাসে গেঁথে থাকা বার্নাব্যুকে সম্মান জানিয়ে তার নামেই এতদিন ছিল স্টেডিয়াম। তবে সেটি বদলে যাচ্ছে। রিয়াল তাদের কিংবদন্তি সভাপতিকে একেবারে বাদ দিয়ে দিচ্ছে, ব্যাপারটা এমন নয়। তার নামের প্রথম অংশ ফেলে দেওয়া হবে বলে খবর মার্কার। অর্থাৎ, ‘স্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যু’ হয়ে যাচ্ছে ‘স্তাদিও বার্নাব্যু’।
এই বদলের নেপথ্যে স্পন্সর ও মার্কেটিং রয়েছে বলে মনে করছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমটি। স্টেডিয়ামের নাম ছোট হলে ছবি ও প্রচারে সুবিধা হবে, এমন পরিকল্পনা থেকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে সান্তিয়াগো ছেঁটে ফেলা হচ্ছে।
রিয়াল তাদের স্টেডিয়াম নতুন করে বানিয়েছে। ৭৮ হাজার ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়াম শুধু ফুটবল নয়, বিনোদনের অন্য মাধ্যমেও ব্যবহার করতে চাইছে রিয়াল। কনসার্ট ও করপোরেট ইভেন্ট আয়োজন করে বাড়তি আয়ের পথ তৈরি করতে চায় মাদ্রিদের অভিজাতরা। সেজন্য নাম ছোট হলে সুবিধা হয়। অবশ্য স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন নিয়ে রিয়াল এখনও কিছু জানায়নি।