সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি হয়েছে। এখন থেকে ঘরে বসেই আবেদনকৃত শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই লটারি হয়।
অনলাইনের পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমেও জানা যাবে ফলাফল। এসএমএস পদ্ধতি : GSA<Space> Result<Space>User ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে।
বর্তমানে ডিজিটাল লটারির মধ্যমে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা যে মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে ভর্তির আবেদন করেছে, লটারি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ওই মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে। এরপর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে https://gsa.teletalk.com.bd/ প্রবেশ করে অভিভাবকেরা লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লটারির ফলাফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন।
একই ওয়েবসাইটে আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে প্রধান শিক্ষকরাও নিজ নিজ স্কুলের লটারির ফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন। ফলাফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ই-মেইল পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাউশির আওতাধীন ৬৮০টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ১২ নভেম্বর থেকে শুরু করে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন গ্রহণ চলে।
এই প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আবেদন জমা পড়ে।
আর ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি আবেদন গৃহীত হয়। এই আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এবারের ভর্তির আবেদন ফি ছিল ১১০ টাকা।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর নিজ নিজ ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।